দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
১৫ জুলাই ২০২২ ১৪:০২
বরিশাল: বরিশালের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে নিম্নাঞ্চল ও নগরীর কিছু কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদীর আশপাশের বাসিন্দারা।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেইজ রিডার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর বিপৎসীমা ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার এবং পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও বরগুনার বিষখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালি নদীর পানি ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও ইন্দুরকানীর কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের অনেক নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
এদিকে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। নগরী গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কেও নদীর পানি উঠে যায়।
নগরীর ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, বাসার সামনে হাঁটু সমান পানি। নদীতে পানি বাড়ায় রাস্তায়ও পানি বাড়ছে।
হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা আরিফ গাজী বলেন, পানি ওঠায় অনেকে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমাদের পার্শ্ববর্তী রসূলপুর এলাকায়ও অনেক পানি উঠেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রনব কুমার রায় বলেন, বরিশালে স্বাভাবিক আবহাওয়া বিদ্যমান। মূলত বর্ষা মৌসুমের জোয়ারের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সারাবাংলা/এএম