সৌদি আরব যাচ্ছেন বাইডেন
১৫ জুলাই ২০২২ ১৫:৩৬
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশটিতে একটি বির্তকিত সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন তিনি। এর আগে ফিলিস্তিনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। শুক্রবার (১৫ জুলাই) অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। খবর বিবিসি।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে তার বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার টানাপোড় কমার সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করেছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় নেওয়া কারণে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়।
শুক্রবার বেথলেহেমে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিস্তিনিদের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মূলত ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন দ্বারা ওয়াশিংটনে অবস্থিত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) অফিস বন্ধ করায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থগিত করে দেশটি। ফিলিস্তিনিদের প্রধান প্রতিনিধি সংস্থা হলো পিএলও।
ইসরাইলের সঙ্গে পুনরায় শান্তি আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চায় ফিলিস্তিন। এছাড়া জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট পুনরায় চালু করতে দেশটি, ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস হিসাবে কাজ করেছিল। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিন সফর শেষে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় যুরাজের বাবা বাদশাহ সালমানের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। এ সময় উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহ, মানবাধিকার এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, ২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় দুই বছর আগে সৌদি আরবকে ‘একঘরে’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জো বাইডেন। তবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সৌদি যুবরাজ। কিন্তু তিনি এ হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছেন বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ হলো সৌদি আরব। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বৃদ্ধির পর দেশটির সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান পরিস্থিতে সৌদি সরকার তেলের উৎপাদন বাড়াতে রাজি হবেন বলে মনে করেছেন মার্কিন প্রশাসন।
সারাবাংলা/এনএস