Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বজিতের খুনি লুকিয়ে ছিল টেকনাফে, কাজ করত ব্র্যাকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৫ জুলাই ২০২২ ১৭:৫৮

বগুড়া: বগুড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ইদ করতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ঢাকার চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন (৩৫)। সে ২০১২ সালে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিল। আলাউদ্দিন পালিয়ে টেকনাফে এনজিও ব্র্যাকে চাকরি করত।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোর রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়ি থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার ছোট ধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। তার স্ত্রীও টেকনাফে একটি বিদেশি সাহায্য সংস্থায় চাকরি করেন। সেখানেই আলাউদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় হলে ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর রাতে মোকামতলা বন্দরে তার শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। ইদ উদযাপন করতে গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাতে স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসে আলাউদ্দিন। শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে সে কর্মস্থল কক্সবাজার জেলার টেকনাফে চলে যেত।

এর আগে, আলাউদ্দিন গাজীপুরে একটি পোল্ট্রি ফার্মে চাকরি করত।

আলাউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে আলাউদ্দিন বিশ্বিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষের ছাত্র। সেই বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন দর্জি দোকান কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাস (২২)। কোনো কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে বিশ্বজিৎকে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বজিতের ভাই উত্তম দাস ঢাকার সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করলে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২১ জন আসামির মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দেওয়া হয়। ২১ জন আসামির মধ্যে ৮ জন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এবং অপর ১৩ জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।

পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পক্ষে আপিল করা হলে হাইকোর্ট ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা এবং ২ জনকে খালাস দেন। যাবৎজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে আলাউদ্দিন একজন। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সময় তার বয়স ছিল ২৬ বছর। মামলার এজাহারে আলাউদ্দিন ৪নং আসামি, ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিল।

সারাবাংলা/এমও

টেকনাফ বিশ্বজিতের খুনি বিশ্বজিৎ হত্যা বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা ব্র্যাক

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর