‘সরকার পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে’
১৫ জুলাই ২০২২ ২০:৫৫
ঢাকা: সরকার পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে হামলা এবং ময়মনসিংহের পাগলায় হামলা চালিয়ে স্থানীয় বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এ বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। সেখানে পুলিশ যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছে, তা নজিরবিহীন। পুলিশ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, বিএনপির ধর্মীয় অনুষ্ঠান বানচাল করতেও সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে।’
এই ঘটনায় সরকারের নৃশংস ফ্যাসিবাদের উগ্ররূপ প্রকাশ পেয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ময়মনসিংহের পাগলা উপজেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, ৪০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া এবং আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ও তার বৃদ্ধা মাসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের ওপর যে পৈশাচিক হামলা করা হয়েছে তা বর্তমান অবৈধ সরকারের সন্ত্রাসনির্ভর অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর বাগমারা ও ময়মনসিংহের পাগলার ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বর্তমানে সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, অর্থপাচার আর মহা দুর্নীতিতে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে যে, সেটিকে আড়াল করার জন্যই দেশব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। আর এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ত ঝড়ছে। নিহত ও আহত হচ্ছেন অসংখ্য বিএনপি নেতাকর্মী।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে। মনে হয় তাদের পায়ের নিচের মাটি কাঁপতে শুরু করেছে। গণতন্ত্র উচ্ছেদ করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এই সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা পন্থা অবলম্বন করেছে। গণবিক্ষোভের বিষ্ফোরণ ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে।’
‘তবে এই সরকারের পতনের সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে এই সরকারের পতন অতি সন্নিকটে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সারাবাংলা/এজেড/এমও