Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নেত্রকোনায় বন্যায় সড়কের ক্ষতি ১৪১ কোটি টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুলাই ২০২২ ১৪:৪১

নেত্রকোনা: বন্যায় নেত্রকোনায় সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১৪১ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নেত্রকোনা কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় ৮.৪৭ কিলোমিটার সড়ক ও ২০ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কলমান্দায় ২৫ কিলোমিটার সড়ক ও ৩৯০ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

জেলার মদনে ৪৩ কিলোমিটার সড়ক ও ১৬০ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। মোহনগঞ্জে ২৫.৯৬ কিলোমিটার সড়ক ও ৫ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। খালিয়াজুরীতে ২০.২০ কিলোমিটার সড়ক ও ৬ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। আটপাড়ায় ২১.৭৭ কিলোমিটার সড়ক ও ৩ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।

জেলার কেন্দুয়ায় ৫.৩০ কিলোমিটার সড়ক ও ২৮ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সদর উপজেলায় শুধুমাত্র ৩.৯৯ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। বারহাট্টা উপজেলায় ২৮.৮৪ কিলোমিটার সড়ক ও ৪১০ মিটার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া শুধুমাত্র পূর্বধলা উপজেলায় বন্যায় সড়ক ও সেতুর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খালিয়াজুরী উপজেলায়। এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এরপর মদন উপজেলায় ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকার সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে মোহনগঞ্জ উপজেলা। মোহনগঞ্জে ২২ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকার সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এবারের বন্যায় পূর্বধলায় উপজেলায় সড়ক ও সেতুর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

বিজ্ঞাপন

জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষয়ক্ষতির এ তালিকার পাশাপাশি মেরামতের প্রয়োজনীয় চাহিদা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর দ্রুত এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

সারাবাংলা/এএম

টপ নিউজ নেত্রকোনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর