সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন শুরু
১৮ জুলাই ২০২২ ১৯:১৫
সুনামগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে গত ১৬ জুন ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়। সেই বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েন সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে বানভাসি মানুষের পাশে থেকে সহায়তা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কখনও কোমর কিংবা গলা পানিতে নেমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। আবার কখনও পানিতে নেমে কাঁধে ত্রাণ নিয়ে বানভাসিদের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে সেনা সদস্যরা।
বর্তমানে সুনামগঞ্জে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যার ভয়াবহ তাণ্ডবে ঘরবাড়ি হারানো মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সোমবার (১৮ জুলাই) সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ঘরবাড়ি হারানো ৬০ জন মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য টিনসহ নগদ অর্থ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এমনকি তাদের নতুন কাপড় দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে উৎস দিয়েছে এমনকি বন্যা দুর্গতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১ মাস হয়ে গেলেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বানভাসি যাতে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বন্যার তাণ্ডবে সুনামগঞ্জ সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার যে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল সেই রাস্তাঘাটের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো মানুষ চলাচলের জন্য মেরামত করে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয় বন্যায় ঘর বাড়ি হারিয়ে যারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে সেই মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে তাদের পুনর্বাসনের জন্য টিনসহ নগদ অর্থ ও নতুন কাপড় বিতরণ করেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা মানুষেরা জানান, সেনাবাহিনীর ঋণ শোধ করার মতো নয়। সেই বন্যার শুরু থেকে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। এখন বন্যার পানি নেমে গেছে কিন্তু আমরা যাতে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারি সেই জন্য তারা আমাদের ঘর নির্মাণের জন্য টিনসহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়েছেন এবং নতুন কাপড় আবারও নতুন করে চলার পথ দেখিয়ে দিলেন। তাদের উদ্যোগ সারা জীবন মনে রাখবে সুনামগঞ্জের মানুষ।
১৭ পদাতিক ডিভিশন জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার সিলেট মেজর জেনারেল হামিদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বন্যার শুরু থেকে বন্যা দুর্গত মানুষকে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে আছে। আমি শুধু তাদের একটা কথা বলব আপনারা সাহস হারাবেন না, যতদিন দরকার সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে থাকবে।’
সারাবাংলা/এমও