Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মডেল রাউধা মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে পুনঃতদন্তের নির্দেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুলাই ২০২২ ২২:৪৭

রাজশাহী: আন্তর্জাতিক ভোগ সাময়িকীর মডেল রাউধা আতিফের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশে বলা হয়েছে, এএসপি মর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করবেন।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ মহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর আগে সিআইডি ও পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে রাউধা আতিফ আত্মহত্যা করেছেন বলে আলাদাভাবে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

মালদ্বীপের নাগরিক রাউধা আতিফ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ কলেজের বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেল কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ যখন লাশটি উদ্ধার করে তখন সেটি বিছানার ওপর ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই সময় দাবি করেছিল, রাউধা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। পুলিশ যাওয়ার আগেই দরজা ভেঙে লাশটি নামানো হয় বলেও কর্তৃপক্ষের দাবি।

সে সময় রাউধার বাবা দাবি করেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেননি। রাউধার সহপাঠী ভারতের কাশ্মীরের নাগরিক সিরাত পারভীনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। প্রথমে ময়নাতদন্ত শেষে রাউধার লাশ রাজশাহীতে দাফন করা হয়। হত্যা মামলা করার পর কবর থেকে লাশ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। দুই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই বলা হয়, রাউধা আত্মহত্যা করেছেন।

পরে ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর শাহ মখদুম থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার আলী তুহিন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক আসমাউল হক আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। এতে নারাজি পিটিশন দেন রাউধার বাবা। আদালত তা গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন।

বিজ্ঞাপন

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান ২০১৯ সালের ১৮ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে তিনি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আত্মহত্যার বিষয়টি থাকার কথা উল্লেখ করেন। আর তার নিজের তদন্তের বিষয়ে উল্লেখ করেন যে, মামলার আসামি সিরাত পারভীনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত মামলাটি নথিজাত করেন। এতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবারও মামলাটি তদন্তের আবেদন করেছিলেন।

রাউধার আইনজীবী আসলাম সরকার জানান, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি তিনি মহানগর দায়রা ও জজ আদালতে মামলার রিভিশন আবেদন করেন। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আদালতে রিভিশনের আবেদন মঞ্জুর হয়। সেদিন আদালত নিম্ন আদালতে বাদীর নারাজি আবেদন দাখিলের অনুমতি দেন।

গত ২৯ জুন রাউধার বাবা মামলার বাদী ডা. মোহাম্মদ আতিফ নারাজির আবেদন করেন। মঙ্গলবার এই নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল ইসলাম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

আইনজীবী আসলাম সরকার বলেন, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে লাশ নামানো হলে দরজায় আঘাত থাকবে। ছিটকিনি ভাঙা বা বাঁকানো থাকবে। ৪০ কেজি ওজনের একটা মানুষও যদি ফ্যানে ঝুলে তাহলে সেই ফ্যানেও একটা চিহ্ন থাকবে। পরীক্ষায় তা ধরা পড়বে। এসব কিছুই পাওয়া যায়নি। এই বিষয়গুলোই আদালতকে বোঝানো হয়েছে। তাই আদালত মামলা পুনরায় তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি দ্রুতই আদালত থেকে রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনারের কাছে পাঠানো হবে।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর