‘সারের সংকট হবে না, তবে ভর্তুকি আরও বাড়তে পারে’
২০ জুলাই ২০২২ ২০:৫২
ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে সারের কোনো সংকট হবে না। তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ প্রলম্বিত হলে ভর্তুকি আরও বাড়তে পারে। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে আমরা রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে সার আমদানি করতে পারছি না। তবে সরকারের ত্বড়িৎ পদক্ষেপে বিকল্প উৎস কানাডা থেকে সার আনা সম্ভব হচ্ছে। এই মুহূর্তে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের যে মজুদ রয়েছে, তাতে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত কোন সমস্যা হবে না।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যমুনা ও চট্টগ্রাম সার কারখানায় গ্যাস সংকটের কারণে সার উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউরিয়া সার নিয়ে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। কারখানা দু’টি চালু করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে ইউরিয়া সার আমদানিতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে এবং সারে ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়বে। এছাড়া, গ্যাস সংকটের কারণে সার কারখানা বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।’
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন। রাশিয়ার উপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ সার আমদানি করতে পারছে না। ফলে সরকারকে সারে অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘সার রফতানিতে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া উচিত।’
রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড সুইজারল্যান্ডের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন বলে এ সময় জানান।
এর আগে, কৃষিমন্ত্রীর সাথে এসওয়াটিনির (সাবেক সোয়াজিল্যান্ড) বাণিজ্য, শিল্প ও ট্রেড মন্ত্রী মানকুবা খুমালোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। এসওয়াটিনির মন্ত্রী বাংলাদেশকে কৃষিকাজে জমি লিজ দেওয়ার এবং কন্ট্রাক্ট ফার্মিং করার প্রস্তাব দেন এবং কৃষিখাতে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক জানান এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম