ইভিএমে ভোট হলে কারচুপি হবে না, নিশ্চয়তা চায় বিকল্পধারা
২৬ জুলাই ২০২২ ১৩:৫৯
ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট চায় বিকল্পধারা বাংলাদেশ। তবে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্র দখল বন্ধ হতে হবে এবং একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ইসির সংলাপে অংশ নিয়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এমপি এসব দাবি জানান।
ইসির সংলাপে দলটির মহাসচিব মেজর অব. আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে রয়েছেন বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের মুখপাত্র মাহী বি চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইউসুফ, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এতে ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতান, আনিছুর রহমান ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব হুমায়ন কবির খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত প্রস্তাবে দলের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বর্তমান সরকার এবং নির্বচন কমিশন বহু বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে। তার একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরেপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন, তাই আপনাদেরকে সাধুবাদ জানাই। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য আপনাদের
প্রচেষ্টা সফল হোক, তার জন্য দলীয়ভাবে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আপনাদেরকে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করবে।
মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হলে অন্তত ভোট কারচুপি বন্ধ হবে। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না, এই নিশ্চয়তা চাই।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, তার ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। নির্বাচন ক্যাম্পেইনে সবার জন্য সমান সুযোগের পাশাপাশি ভোটারদের ভোট দেওয়ার গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত লোকের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ভোট কেন্দ্রে পেশী শক্তি ব্যবহার রোধ কল্পে প্রতি ভোট কেন্দ্রে সামরিক বাহীনির অন্ততঃ ৫ সদস্যের নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে দ্রুত সময়ে ভোটগণনা সম্পূর্ণ করে ভোটের ফলাফল উপস্থিত এজেন্টদের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘোষণা দিতে হবে।
সারাবাংলা/জিএস/এএম