ঢাকা: আধুনিকায়নের মাধ্যমে পুলিশকে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, আমরা পুলিশকে আধুনিক করতে চাই। আমরা পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে চাই। কারণ পুলিশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত না করতে পারলে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের (পিএসসি) ১৮তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে এই বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে পুলিশের প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে পুলিশ স্টাফ কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশকে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশ যে ভূমিকা রেখেছে, তা দেশে-বিদেশে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে বলেও সভায় মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, পুলিশের প্রশিক্ষণের গুণগত উৎকর্ষ সাধনে সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাতেও পুলিশ প্রশংসনীয় অবদান রাখছে।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশ স্টাফ কলেজ শুধু পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেই নয়, জাতীয় প্রেক্ষিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আগামী দিনেও পুলিশ স্টাফ কলেজ এ ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশ স্টাফ কলেজের অগ্রযাত্রায় সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
পিএসসি’র রেক্টর খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ।
১৮তম বোর্ড সভায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্থাপন, পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের আইন সংশোধন এবং বিধি ও প্রবিধান প্রণয়ন, জনবল বাড়ানো, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া, বিগত ১৭তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের রেক্টর ও বোর্ড সচিব খন্দকার গোলাম ফারুক সভা পরিচালনা করেন।
