ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে জালে
২৬ জুলাই ২০২২ ২০:০৩ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ০০:১৯
কক্সবাজার: টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়া জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। একের পর এক মাছ ভর্তি ট্রলার ফিরছে উপকূলে। দীর্ঘদিন পর মাছ ভর্তি ট্রলার আসায় খুশি জেলে, ট্রলার মালিক ও আড়তদাররা।
শহরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, গত দুই দিন আগেও যেখানে ছিল সুনসান নীরবতা, সেই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন মানুষের কোলাহলে মুখর। জেলে, শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের হাকডাকে সরগরম পুরো এলাকা।
দেখা যায়, বাঁকখালী নদীতে অর্ধশত মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করে আছে। এসব ট্রলার থেকে মাছ নামিয়ে পল্টনে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। পল্টন ছাড়াও ট্রলারের মাঝেই চলছে বেচাকেনা। জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের কিছুটা গভীরে গিয়ে জাল ফেললেই ইলিশ ধরা পড়ছে। এছাড়াও ধরা পড়ছে লাল পোয়া, মাইট্যা, সুরমা ও রিটাসহ নানা প্রজাতির বিপুল মাছ। তারা আশা করছে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই সামুদ্রিক মাছে ভরে উঠবে হাটবাজার।
কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির লোকজন জানান, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেও কক্সবাজার উপকূলে ইলিশের খুব একটা দেখা পাননি জেলেরা। এবার বড় ইলিশ ধরা পড়ায় তারা খুবই খুশি।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলেন, যে হারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে সেই হারে এখনো দাম কমেনি। মাঝারি আকারের ১০০ ইলিশের দাম হাকা হচ্ছে ৫০ হাজারের বেশি। আর বড় আকারের ১০০ ইলিশের দাম হাকা হচ্ছে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি।
ফিসারিঘাটের বড় মৎস্য ব্যবসায়ী লিয়াকত কোম্পানি জানান, আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে অন্তত আড়াই থেকে ৩ হাজার ট্রলার ইলিশসহ অন্যান্য মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরবে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এসব মাছের বড় একটি অংশ যাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ম্যানেজার আহসানুল হক জানান, নিষেধজ্ঞা শেষে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনেই অনেক মাছ ধরার ট্রলার সাগর থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরেছে। গত রোববারে ফিসারিঘাটে সাড়ে ১৬ টন মাছ বিক্রি হয়। এরই মধ্যে ১১ টন ৭০০ কেজি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের।
জেলায় ছোট-বড় মাছ ধরা ট্রলার আছে প্রায় ছয় হাজার। এসব ট্রলারে জেলে-শ্রমিকের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৬৩ হাজার ১৯৩ জন।
সারাবাংলা/এনএস