চাঁদা না পেয়ে কারখানায় আগুন, গ্রেফতার ২
২৭ জুলাই ২০২২ ১৭:২৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারতে পলাতক শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের নামে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে একটি ফোম কারখানায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার হাজীরপুল এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেফতার দু’জন হলো- মোবারক হোসেন (১৯) ও মো. জিসান (১৯)। তারা বিদেশে পলাতক সাজ্জাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সহযোগী সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে জানান, তানভীর আলম নামে এক ব্যবসায়ী সম্প্রতি নগরীর চালিতাতলী এলাকায় ‘কমফোর্ট হোমটেক্স মেট্রেস অ্যান্ড পিলো ফ্যাক্টরি’ নামে মেট্রেস ও বালিশের কারখানা চালু করেন। গত ১৭ ও ১৮ জুলাই দুই দফায় একটি বিদেশি নম্বর থেকে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের পরিচয় দিয়ে তাকে ফোন করে চাঁদা দাবি করা হয়।
কিন্তু তানভীর আলম চাঁদা না দেননি। এরপর গত ২০ জুলাই ভোরে কারখানার পেছনে গিয়ে বোতল থেকে পেট্রোল ঢেলে কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে তানভীর বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে এবং বাদীর মোবাইলে আসা বিদেশি কলের সূত্র ধরে আমরা মোবারক ও জিসানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের কাছে তথ্য আছে, সাজ্জাদ গত ১০ বছর ধরে ভারতে আছে। বিভিন্ন সময় সাজ্জাদ বিদেশ থেকে ফোন করে চাঁদা দাবি করেছে- এমন আরও অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সর্বশেষ আগুন দেওয়ার ঘটনাটি আমরা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি।’
চট্টগ্রামের এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খান। ২০০১ সালের ৩ অক্টোবর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার চালিতাতলী এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধের পর সাজ্জাদ ও তার সহযোগী আরেক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার দেলোয়ার হোসেন ওরফে আজরাইল দেলোয়ারকে একটি একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে ভারতে চলে যায় সাজ্জাদ। সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে কিছুদিন অবস্থান করে। পরে আবার ভারতে ফিরে আসে। বর্তমানে সাজ্জাদ ভারতে অবস্থান করছে বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাছে তথ্য আছে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম