Friday 18 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্মার্ট আইডি কার্ড পেলেন ২৫ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুলাই ২০২২ ১৫:৫০

ঢাকা: দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এ কার্যক্রমের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক খান। এসময় ১৭ জেলার জেলা প্রশাসকরা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ১৭ জেলার মোট ২৪ হাজার ৭৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৪৬ হাজার ৮০৩ জনকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ হাজার ৭৬১ জন জীবিত এবং ২২ হাজার ৪ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধা।

বিজ্ঞাপন

যে ১৭ জেলার মুক্তিযোদ্ধারা কার্ড পেলেন সেগুলো হলো, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, নড়াইল, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ঢাকা, শরিয়তপুর, মেহেরপুর এবং নারায়ণগঞ্জ। এই কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, এই ১৭ জেলার ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হয়েছে। বাকি ৪৭ জেলার কাজ দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর আমরা দেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড পৌঁছে দিতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মহানগরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। আর জেলাভিত্তিক ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড সবশেষ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ( www.molwa.gov.bd) প্রকাশিত সমন্বিত তালিকা যাচাই করে বিতরণ করা হবে।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমন্বিত তালিকায় নাম না থাকলে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে পাঠানো জেলাভিত্তিক ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ স্থগিত রাখতে হবে। সমন্বিত তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত হয়নি এমন বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সমন্বিত তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হবে।

জানানো হয়, যেসকল বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম সমন্বিত তালিকায় থাকা সত্ত্বেও কোনো কারণে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রিন্ট হয়নি তাদের এমআইএস নম্বরসহ নামের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতারা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠাবেন। এরপর তাদের নামে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাঠানো হবে। যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন তাদের নামে শুধু ডিজিটাল সার্টিফিকেট পাঠানো হবে। আর ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ডে ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য থানা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দুই মাসের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করতে হবে। যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে শুনানি অবস্থায় থাকবে তাদের কার্ড বিতরণ বন্ধ রাখা হবে। উপজেলা থেকে সুপারিশ ছাড়া কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম সমন্বিত তালিকায় উঠে থাকলে তাদের কার্ড বিতরণ বন্ধ রাখা হবে। একইসঙ্গে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বা সনদ বাতিল হয়ে থাকলে তারাও কার্ড পাবেন না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। এ জাতির জাতিস্বত্তা রক্ষা, আর্থ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অস্তিত্ব পুনরুদ্ধারে এ দেশের আপামর জনসাধারণের ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অগণিত মানুষের চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ

স্মার্ট আইডি কার্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর