ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত রহিমের দাফন সম্পন্ন
১ আগস্ট ২০২২ ১৯:২০
ভোলা: ভোলায় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুর রহিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর ২টায় ভোলা সদরের গোরস্থান মাদরাসা মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে তার গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার ভাই আব্দুর রাজ্জাকসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তরের সময় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন সদর হাসপাতালের মর্গে সামনে নিহতের স্বজনদের সমবেদনা জানিয়ে এ হত্যার বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে নিহত আব্দুর রহিমের স্বজনরাও হত্যার বিচার দাবি করেন।
অপরদিকে রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি পুলিশ অ্যাসল্ট, অপরটি হত্যা মামলা।
পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০/৩০০জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দুইটিতে ১০ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন, দৌলতখানে এক জন ও বোরহানউদ্দিনে ৩ জন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন মামলার তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত আব্দুর রহিমের জানাজা শেষে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর দাবি করেন, পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমন হোসেনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানাজায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এমও