‘ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে টঙ্গী-জয়দেবপুর দ্বিতীয় রেললাইন’
৯ আগস্ট ২০২২ ১৮:৩৭
ঢাকা: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন চালু করার কথা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় এবং চতুর্থ ডুয়েলগেজ এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল রেল লাইনটি ভারতীয় এলওসি’র অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত মোট ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেললাইন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশের কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার কথা থাকলেও নির্মাণ সাইটে মালামাল, পিওয়ে ফিটিংস, পাথর ও স্লিপারসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী সময়মত সরবরাহ করতে পারেনি ঠিকাদার। ফলে তা সময়মত শেষ করা সম্ভব হয়নি। এখন এ প্রকল্প চলতি বছরের মধ্যেই শেষ করার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে রেলপথ মন্ত্রী গ্যাংকার যোগে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত পুরো অংশ পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অবকাঠামো মো. কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়াসহ বিভাগীয় পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই লাইন চালু করা সম্ভব হবে।’
এ সময়ে সাংবাদিকদের রেল সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাব দেন রেলপথমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্টেশন চালু সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৪৭ হাজার ৬০০ জনের একটি জনবল কাঠামো অনুমোদিত হয়েছে। আমরা নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘গত ৬ আগস্ট সহকারী স্টেশন মাস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে লোকবল নিয়োগ দিলে স্টেশন সমূহ চালু করা সম্ভব হবে।’
লেভেল ক্রসিং গেটে দুর্ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রেনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই আমরা লেভেল ক্রসিং এ লোক নিয়োগ দিয়ে থাকি। কিন্তু বিভিন্ন সংস্থা তারা তাদের মতো করে রেললাইনের ওপর রাস্তা তৈরি করছে। এক্ষেত্রে তাদেরই নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/এনএস