‘ফেসবুক, গুগলে বিজ্ঞাপন দিলেই বসবে কর’
২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১৮:২২
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ফেসবুক ও গুগলের অফিস বাংলাদেশে না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর সরাসরি কর আরোপ করা যাচ্ছে না। তবে, এসব প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞাপন দাতাদের উপর কর বসানো হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আসছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।
ফেসবুক ও গুগলের ওপর কর বসানো প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশে অফিস না হওয়া পর্যন্ত তাদের উপর কর আরোপ করা যাবে না। কিন্তু তাদেরকে যারা বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের উপর তো কর আরোপ করতে পারবো।’
বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেলগুলোর দাপট অনেক বেশি। বিষয়টি উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশি চ্যানেলের জন্য দেশি চ্যানেলগুলো অনেক সমস্যায় পড়ছে। এ সময় তিনি ক্যাবল অপারেটদের সম্পর্কে জানতে চেয়ে বিষয়টি রাজস্ব কর্মকর্তারদের নজরে আনার পরামর্শ দেন।
এছাড়া, আসছে বাজেটে বিড়ি, জর্দা ও গুলের উপর কর বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সিগারেটের উপর থেকে সারচার্জ প্রত্যাহার ও সিগারেটের স্ল্যাব পরিবর্তনের দাবি জানান ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো’র চেয়ারম্যান গোলাম মাইনউদ্দিন।
তিনি বলেন, মধ্যম মানের সিগারেটের মার্কেট শেয়ার ২০ শতাংশে নেমে গেছে। উচ্চ মানের সিগারেটের মার্কেট শেয়ার ৯ শতাংশ। তিনি বলেন, শুল্ক ছাড়া চোরাইভাবে সিগারেট আসার প্রবণতা রয়েছে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, সিগারেটে সবচেয়ে উচ্চ কর, এর পরেও যদি সারচার্জ বসে, তাতে আমাদের উপর বার্ডেন (চাপ) তৈরি হয়।
বিএটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনির বলেন, তামাকের বাজার এখন হাই গ্রেড থেকে লো গ্রেডে চলে গেছে। অথচ উচ্চ গ্রেডেই কর বেশি। ফলে, সরকার গত ১১ বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে। সংগঠনটির পক্ষে উচ্চ গ্রেডে কর কমানো ও নিম্ন গ্রেডে কর বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
এই প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করে দিলে চোরাচালান বাড়বে। মানুষ অন্য নেশায় যাবে। তাই, উৎসাহিত না করে চালু রাখা হবে। আমরা চেষ্টা করবো কোনভাবেই যাতে সিগারেটের চোরাচালান না হয়। তিনি বলেন, সিগারেটের বিজনেস ট্রেন্ড পরিবর্তন হচ্ছে। নিম্ন শ্রেণির মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
আর ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের এনসিটিবি’র পাঠ্যপুস্তক মুদ্রনের কার্যাদেশ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কম শুল্কে কাগজ আমদানীর সুযোগ চেয়েছে বাংলাদেশ মুদ্রন শিল্প সমিতি। সংগঠনটির চেয়ারম্যান তোফায়েল খান বলেন, রাজধানীর আরামবাগে ১২০০ প্রিন্টিং প্রেস আছে। এর মধ্যে নিবন্ধিতের সংখ্যা মাত্র ৭শ হলেও বাকিগুলো অনিবন্ধিত। এগুলোকে কর ও ভ্যাটের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook