রংপুরে স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ড
১১ আগস্ট ২০২২ ২৩:২৫
রংপুর: রংপুরের বদরগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অপরাধে স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক তারিখ হোসেন এ রায় প্রদান করেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির নাম মমতাজ ওরফে সুলতান। তিনি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার খাগড়াবন্দ মধ্যপাড়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
সরকারপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নয়নুর রহমান টফি রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে সুমাইয়া আখতার শারমিনের সঙ্গে সুলতানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা দুজন বিয়ে করেন। বিয়ের পর সুলতান পার্শ্ববর্তী এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে সুমাইয়ার সঙ্গে তার সুলতানের ঝগড়া হয়। সংসারে অশান্তির রেশ ধরে ২০১৯ সালের ৪ জুন মমতাজ মোবাইল ফোনে তার সুমাইয়াকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর বালুয়াপাড়া গ্রামের যমুনেশ্বরী নদীর তীরের আখখেতে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গাছের ডালে ঝুঁলিয়ে রেখে চলে যান। পরদিন বদরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে নিহত সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ সুলতানকে গ্রেফতার করে।
পিপি নয়নুর রহমান টফি জানান, সুলতান আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ সুলতানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামি সুলতানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় প্রদান করেন। সেই সঙ্গে দশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
পিপি বলেন, মামলাটি সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। রায়ে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এতে তারা সস্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, ‘সুলতান ন্যায্য বিচার পায়নি। আমরা রায়ের কপি হাতে পেলে সবকিছু বিশ্লেষণ করে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
সারাবাংলা/একে