ওয়ার্কপ্লেস সেফটি বলে কিছুই ছিল না— ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মেয়র
১৬ আগস্ট ২০২২ ১১:২৩
ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় ব্যস্ততম ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলছিল বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ। গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ওই প্রকল্পের গার্ডার পড়ে একটি প্রাইভেটকারের পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলে ওয়ার্কপ্লেস সেফটি বলে কোনোকিছু দেখতে পারি নাই। কোনো সাইনবোর্ড লেখা নাই যে এখানে কাজ চলছে। ব্যারিকেড নেই।’
এই দুর্ঘটনাকে ঠিকাদারদের খামখেয়ালি মন্তব্য করে মেয়র আতিক বলেন, ডিএমপি, ডিসি, সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। গতকালকের এই নির্মাণকাজের বিষয়ে কাউকে কিছুই জানানো হয়নি। অবগত করা হয়নি।
নিরাপত্তার চরম অভাবকে দায়ী করে মেয়র বলেন, ‘উপরে ওয়ার্লিংয়ের কাজ চলছে। সেখান থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ পড়ছে। কিন্তু কোনো সেফটি নেই। কমপ্লাইন্সের কোনোকিছু মেইনটেইন করা হয়নি।‘ ক্রেন কে চালাচ্ছিল তার অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মেয়র।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কী কী ত্রুটি আছে তা বের হয়ে আসবে।
এর আগে, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জসিমউদ্দিন মোড় সংলগ্ন সড়কে থাকা আড়ংয়ের সামনে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) স্থাপনা প্রকল্পের একটি গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। এতে পাঁচ আরোহী নিহত হন। আহত হন আরও দুই আরোহী। গার্ডারের নিচে প্রাইভেটকার চাপা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি স্থানীয়দের পক্ষে। পরে এক্সেভেটর দিয়ে গার্ডার সরিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনার শিকার প্রাইভেটকারে ছিলেন একই পরিবারের সাত সদস্য। এর মাঝে নিহতরা হলেন- রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার হৃদয় ও রিয়ার বিয়ে হয়। তারা আজ ছেলের বাড়ি থেকে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখান থানার কাওলা আফিল মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। আর কনে রিয়া মনির বাড়ি আশুলিয়ার খেজুরবাগানে আসরাফউদ্দিন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায়। হৃদয় ও রিয়া মনি গাড়িতে থাকলেও সেখান থেকে উদ্ধার করে তাদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এএম