Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপির আন্দোলনের সোনার হরিণ তো দেখা দিল না’

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
১৮ আগস্ট ২০২২ ১৭:৪৮

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কাঁদতে কাঁদতে অনেক চোখের পানি ঝরালেন। আমাদের চোখের কত পানি কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে গেছে! কোথায় আন্দোলন? আন্দোলনের সোনার হরিণ তো দেখা দিল না। আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দেখা দিলে, ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কখনো দেখা দিবে না। আন্দোলনে জয় নিয়েই নির্বাচনে যেতে হয়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি, বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জেতা যায়। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন, ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। ১৩ বছর ধরে কত দেখলাম- কোরবানির ইদের পর, রোজার ইদের পর, দিন যায়, সপ্তাহ-মাস-বছর যায়,পদ্মা-মেঘনার কত পানি গড়িয়ে যায়। কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন, তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ এ দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য লড়ে যাচ্ছেন। পদ্মা ব্রিজ নিয়ে অনেক অপপ্রচার হলো। সেটি এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা।’

মির্জা ফখরুল ইসলামকে পদ্মা সেতু দেখতে যেতে বলে বলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেবকে বলব পদ্মা ব্রিজ দেখে যাবেন। যে তো হবে। কারণ, সামনে নির্বাচন। যতই বলেন, আমরা তো বুঝি ভেতরে বিশাল মনোনয়ন বাণিজ্য আছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পলাশীর আম্রকাননের পুনরাবৃত্তি পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড। সেখানে মীর জাফরের ভূমিকায় খন্দকার মোশতাক, সেনাপতি রায় দূলর্ভের ভূমিকায় সেনাপতি জিয়াউর রহমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিউবার কাছে পাট বিক্রি করার কারণে নিক্সন-কিসিঞ্জাররা মাঝ পথ থেকে খাদ্য সহায়তা ফিরিয়ে নিয়ে খাদ্য সংকট তৈরি করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু। অনেকে আছেন উপরে মুক্তিযোদ্ধা ভেতরে পাকিস্তানের দোসর। এমন একজন হচ্ছেন জিয়াউর রহমান।’

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

আওয়ামী লীগ আন্দোলন ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ বিএনপি সোনার হরিণ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ইনজুরিতে মৌসুম শেষ রদ্রির
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮

সম্পর্কিত খবর