আঘাত এলে প্রতিরোধ করবেন— সংখ্যালঘুদের তথ্যমন্ত্রী
১৯ আগস্ট ২০২২ ১৮:৩৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকার ও আওয়ামী লীগ জাতিগত-ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশে আছে জানিয়ে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই দেশ আপনাদের। সবার মিলিত রক্ত স্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। আপনারা কেউ হীনমন্যতায় ভুগবেন না। এ দেশের মাটিতে আপনারা জন্মগ্রহণ করেছেন। কেউ আঘাত হানলে প্রতিরোধ করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে থাকবে। সরকার আপনাদের পাশে আছে।’
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে। আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল আছে, একটি রাজনৈতিক পক্ষ আছে, যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে, তারা নির্বাচন এলে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়। আওয়ামী লীগকে গালাগাল করে যে, আমরা হিন্দুদের দল।’
‘কিন্তু আমরা সব মানুষের দল। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- সব মানুষের দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু নির্বাচন এলে একটি দল এই ধরনের সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়। ওই রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয়ে গত দুর্গাপূজার মতো দেশে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি। কিন্তু বরাবরের মতো সরকার তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করবে। যখনই যারা সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়েছে, সরকার তাদের কঠোর হস্তে দমন করেছে।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যারা সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়, তাদের আপনারা চেনেন। তাদের ব্যাপারে সময় সতর্ক থাকার বিনীত অনুরোধ জানাই।’
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ-বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আরও বক্তব্য রাখেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব ও রুমকি সেনগুপ্ত, পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুকুমার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর নগরীর জে এম সেন হল প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। কৃষ্ণ, রাধা, দেবকী ও বাসুদেব, কংস রাজার কারাগারসহ বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে ট্রাকে করে শোভাযাত্রায় অংশ নেয় শিশু-কিশোররা। ট্রাকে সাউন্ড সিস্টেমে ভক্তিমূলক গান বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে নানাবয়সী হাজারও মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
কয়েক মাইল দীর্ঘ শোভাযাত্রা নগরীর আন্দরকিল্লা, লালদিঘী, কোতোয়ালী, নিউমার্কেট, তুলসীধাম, ডিসি হিল, চেরাগী পাহাড় হয়ে আবারও জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে পৌঁছায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে পাঁচ দিনব্যাপী জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন হয়। সোমবার পর্যন্ত ধর্ম মহাসম্মেলন, মাতৃ সম্মেলন, পূজা এবং নামসংকীর্তন নানা আয়োজন করেছে ‘শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ।’
সারাবাংলা/আরডি/একে