উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা নিলো ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা
২৫ আগস্ট ২০২২ ২৩:০৫
রাজশাহী: রাজশাহীতে শুরু হয়েছে শিশু শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেওয়া। উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা করোনার টিকা নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলে এই টিকাদান।
করোনা টিকাদানকে কেন্দ্র করে স্কুল প্রাঙ্গণে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ । কিছুটা ভয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা আসলেও টিকা নিতে পেরে তারা দারুণ উচ্ছ্বসিত। অন্যদিকে, দেরিতে হলেও সন্তানদের টিকা নিশ্চিত হওয়ায় স্বস্তিতে অভিভাবকরা।
৫-১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের শিশুদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ফাইজারের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার ৩০ কেন্দ্রে এই টিকা দেয়া হয়। প্রতিটা ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্র করেছে সিটি করপোরেশন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, শিশুদের জন্য বিশেষ এই টিকা প্রথমদিনে দেওয়া হয়েছে ৫৪টি স্কুলের সাত হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থীকে। টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল নয় হাজার ১৩৫ জন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার শতকরা ৮৪ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের এই টিকা গ্রহণের জন্যও জন্ম নিবন্ধন কার্ড দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিটের নম্বরটি দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের টিকা দেবে স্বাস্থ্য বিভাগ।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার জন্য শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে স্কুলগুলো প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষায়িত টিকা রাজশাহী বিভাগীয় মজুত বিভাগের সংরক্ষণাগারে আছে। সিটি করপোরেশন থেকে চাহিদা দেওয়া হলে সেখান থেকে স্বাস্থ্য বিভাগ টিকা সরবরাহ করা হয়।
এর আগে, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বুথের সমস্যা দেখা যায়। সব স্কুলে এসি না থাকার কারণে কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে এবার সেই সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। তিনি বলেন, ‘এবারের এই টিকা দেওয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি কিংবা বুথের প্রয়োজন নেই। সাধারণ তাপমাত্রাতেই দেওয়া যাবে।’
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানান, শিশুদের জন্য তৈরি ফাইজারের এই বিশেষ টিকা দেড় লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। প্রথমে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারপর জেলা শহর এবং পরে উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। টিকার সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়া হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, টিকা দেওয়ার পর যদি কোন শিক্ষার্থীর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাদের জন্য বিশেষ মেডিকেল টিম কাজ করছে। রাজশাহী নগরীর ৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৮ হাজার ২৪২ জনকে টিকা দেয়া হবে। এরমধ্যে ছাত্র ৩০ হাজার ৪৮৫ জন ও ছাত্রী ২৭ হাজার ৭৫৭ জন।
সারাবাংলা/এমও