ঢাকা: রাজধানীর গাবতলী বাস ট্রার্মিনালে থেকে কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তির বস্ত থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. মাজেদুল হক মানিক নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আসামির ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। যা অনাদায়ের তাকে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া এই আসামি হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযাগে তাকে আরেকটি ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করেছেন আদালত। অন্যদিকে মো. মাজেদুল হক মানিককে লাখ গুম করতে সহায়তার অভিযোগে মো. নাসির নামে আরেক আসামিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করেছেন আদালত।
ঘোষণার সময় আসামি মানিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি গাবতলী বাস ট্রার্মিনালের সামনে রিকাশার ওপর চটের বস্তার ভেতর কিছু একটি আছে জানতে পেয়ে পুলিশ আসে। সেখানে রিকশা চালক সুমন (২৬) জানায়, অজ্ঞাতনাম একটি লোক বস্তায় চাউল ও বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে জানিয়ে রিকাশায় তুলে দিতে সামনে যেতে বলে। তিনি পেছনে পেছনে আছে বলে জানায়। কিছু সময় পর পেছনের ওই লোককে না পেয়ে আশপাশের লোকদের জানান তিনি (সুমন)। এরপর পুলিশ উপস্থিত লোকজনের সামনে বস্তা খুলে লাশ দেখতে পায়। লাশের সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ থেকে নাম ঠিকানা পেয়ে পুলিশ যোগাযোগ করে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেন।
ওই ঘটনায় দারুস সালাম থানার এসআই মেহেদী হাসান ২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার সাব-ইন্সপেক্টও মোকাম্মেল হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে রায়ের আগে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।