শিক্ষা সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:২৩
ঢাকা: আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় শিক্ষা সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিকীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে খুলনার দৌলতপুর কলেজের (দিবা-নৈশ) গভর্নিং বডির সভাপতি ও কলেজের অধ্যক্ষকে আদালতে স্বশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রুলের লিখিত আদেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক, খুলনার দৌলতপুর কলেজের (দিবা-নৈশ) গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান, কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম আনিসুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আর দৌলতপুর কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান শাকেরা বানু ও কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম আনিসুর রহমানকে আগামী ১৮ অক্টোবর হাজির হয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শামসুল হক কাঞ্চন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সামসুন নাহার লাইজু।
আইনজীবী মো. শামসুল হক কাঞ্চন সারাবাংলাকে জানান, খুলনার দৌলতপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোল্লা মিজানুর রহমানকে ২০১৭ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যে অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়, পরবর্তীতে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর গত এপ্রিল মাসে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মোল্লা মিজানুর রহমান।
রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন প্রত্যাহার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে মিজানুর রহমানের সমুদয় পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণে মিজানুর রহমান আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন। এ ছাড়া খুলনার দৌলতপুর কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও কলেজের অধ্যক্ষকে তলব করেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে