বিএনপির আন্দোলন মানে নিজেরা মারামারি, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ
৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:০৭
ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের নমুনা হলো, আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করা, পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা, সারাদেশে গন্ডগোল করার অপচেষ্টা চালানো। নামসর্বস্ব যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সংলাপ করেছে, সেগুলোর বাস্তবিক অর্থে কোনো অস্তিত্ব নেই, আছে শুধু সাইনবোর্ড। তারা এই সমস্ত দল নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে বলে ঘোষণাও দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও এরকম একটি ঐক্য তারা করেছিল যার ফলাফল হচ্ছে নির্বাচনে বিএনপির পাঁচটি আসন। এ সব দলকে নিয়ে আন্দোলন করলে অতীতে যেমন জনগণ সাড়া দেয়নি, এবারও দেবে না।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত তিনদিনব্যাপী টেকসই উন্নয়নে পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২২ সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আয়োজক উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমদ, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী ও আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
নির্বাচনের মাঠ থেকে বিএনপিকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘নির্বাচনের মাঠ থেকে তো কাউকে কেউ সরাতে পারে না, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠ থেকে ২০১৪ সালে বিএনপি পালিয়ে গিয়েছিল এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনের মাঠ থেকে পালিয়ে গিয়ে পরে নির্বাচনের ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে গিয়েছিল। তো এবার তারা নির্বাচনের ট্রেনের পাদানিতে চড়বেন না কি ট্রেনে চড়বেন সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।’
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে আবারো সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধিনে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন কমিশন। আর সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে বিশেষ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে সরকার দেশ পরিচালনা করছিল সেই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও তাই হবে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দেশে প্রথম পরিবেশ সুরক্ষা ও বনায়ন নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের পদ প্রবর্তন করেন। এ বিষয়ে দলের প্রথম সম্পাদক ছিলেন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যিনি এক দশক ধরে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।’
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির এই নিয়মিত আয়োজন যেমন দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করছে, তেমনি দেশে-বিদেশেও পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রণী অবস্থান ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরছে।
সারাবাংলা/একে