২ বাসের সংঘর্ষ: ‘মাদক সেবন’ করে বাস চালাচ্ছিলেন চালক
৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১১
রংপুর: রংপুরের তারাগঞ্জের সলেয়াশাহ এলাকায় দুই বাসের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় চালকের বেপরোয়া ড্রাইভিংকে দুষছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, জোয়ানা পরিবহন বাসের চালক মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘জোয়ানা পরিবহনের বাসের চালক মাদক সেবন করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে বাসা থাকা যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। এমনকি তার সহযোগীও মাদক সেবন করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত নয়জনের মধ্যে সাতজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি। তাদের লাশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। আহত বাকিদের মধ্যে দুয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
যাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ওলিউর রহমান জুয়েল, উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের বিনোদচন্দ্রের ছেলে ধনঞ্জয় চন্দ্র, সয়ারকাজি পাড়ার কাছিম উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান, হাড়িয়ালকুঠি ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের মজিবল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও সাদেক আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম খোকন এবং গাইবান্ধা জেলার উত্তর কিতাবী গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাদেক আলী, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কোন্দলপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে মোহসীন আলী সাগর।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাহবুব মোরশেদ জানান, সাতজনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি। তাদের লাশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার জন মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যায়ভার গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মুহা. আব্দুল আলিম মাহমুদ।
সারাবাংলা/পিটিএম