Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাখাইনের সাম্প্রতিক অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৩৬

ঢাকা: ভারত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে। যেখানে বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে এ ঘটনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বৈঠক শেষে ভারতীয় মন্ত্রীর বরাত দিয়ে সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, ‘তারা আমাদের বলেছেন যে, ভারত সেখানে (রাখাইন রাজ্য) সৃষ্ট অস্থিরতার দিকে নজর রাখছে।’ বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক অস্থিরতার ইস্যুতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যাহত হবে কিনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেরই সেই আশঙ্কা রয়েছে।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই ভালো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। তিনি মনে করেন, এই সফরের ফলে এক বছরে (২০২১) ভারতীয় রাষ্ট্রপতি এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে শুরু হওয়া চক্রটি শেষ হয়েছে।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়াতে তাদের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে এমন প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ লক্ষ্যে এই অঞ্চলে আরও ভালো যোগাযোগের জন্য বিবিআইএন’র মতো উদ্যোগকে বেগবান করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নেপাল ও ভুটানকে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। এই সংযোগ মানে শুধু ভৌত সংযোগ নয়। এতে আছে জ্বালানি সংযোগ এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সংযোগ। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন এই যোগাযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পর সড়ক, বিমান ও রেল যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।’

গ্রিড কানেক্টিভিটির বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘গ্রিড কানেক্টিভিটি বাংলাদেশকে নেপাল, ভুটান এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে ও সরবরাহে সহায়তা করবে। এরই মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে।’ আলোচনাকালে পানি বণ্টনের বিষয়টিও উঠে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল এ লক্ষ্যে মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেছেন। যা বিশ্বে একটি সংকট তৈরি করেছে। উভয় নেতা সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।’ এছাড়া যুদ্ধের পটভূমিতে জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সম্মত শর্তাবলীর ভিত্তিতে জ্বালানি উদ্বৃত্ত থাকলে বাংলাদেশ ভারত থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে পারে।’

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘তারা রাশিয়া থেকে তেল নিতে পারবে না, এটা ঠিক নয়। তবে আমরা এখন প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো যাচাই করছি।’

তিনি বলেন, ‘তারা কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন, পানি ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও সম্প্রচার, রেলওয়ে এবং বিএসআরআই’র বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের লক্ষ্যে খসড়া চূড়ান্ত করছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যান্য আরও অনেক ইস্যুর পাশাপাশি তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শিগগিরেই গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।’ [সূত্র: বাসস]

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

টপ নিউজ নজর ভারত মিয়ানমার রাখাইন রাজ্য সাম্প্রতিক অস্থিরতা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর