ধর্ষণ মামলায় পুঠিয়া পৌর মেয়র গ্রেফতার
৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:২৫
রাজশাহী: ধর্ষণ মামলায় অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খান। বুধবার (৭ সেপ্টম্বর) ভোরে বরগুনা জেলার একটি স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
পুঠিয়া পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে এর আগেও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। আল মামুন খান পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবদুল বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় বরগুনা জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন পুঠিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তাকে নিয়ে আসছেন। নিয়ে আসার পর বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি বলেন, থানায় এক তরুণী ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আর এরপর থেকে অভিযুক্ত আল মামুন খান পলাতক ছিলেন। আমরা তাকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করি।
উল্লেখ্য, পুঠিয়া পৌর এলাকার এক তরুণীকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করেন পৌর মেয়র। পরে বিয়ে করার প্রলোভনে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ করেন। তার ধর্ষণের কথা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেওয়া হতো। বিয়ের জন্য চাপ দিলে মেয়রের লোকজন ওই তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দিলে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।
এর আগেও মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। গত বছরের শুরুতে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পুঠিয়া পৌর মেয়র আল মামুন খান। এ ঘটনায় ওই নার্স অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ওই সন্তানের পিতৃপরিচয় দাবি করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছরের ১১ এপ্রিল মেয়রের লোকজন তাকে ব্যক্তিগত অফিসে তুলে এনে নির্যাতন করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ওই নার্সকে মেয়রের কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী নার্স বাদী হয়ে মেয়রকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার তদবিরে বিষয়টি রফাদফা করা হয়।