চাকরি জাতীয়করণ চান ইপিআই কর্মসূচির ভ্যাকসিন বাহকরা
৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৫৯
ঢাকা: ৩০ বছর চাকরি করলেও দৈনিক মজুরিতে কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান (ইপিআই) কর্মসূচির ভ্যাকসিন বাহক বা ইপিআই পোর্টাররা। এমন অবস্থায় সরকারের কাছে ২০তম গ্রেডে চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন ভ্যাকসিন বাহক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ বিভাগীয় ইপিআই অর্ডার/ভ্যাকসিন বাহক কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সমিতির সভাপতি বাবুল হোসেন তালুকদার বলেন, ‘আমরা বিগত ৩০ বছর ধরে দেশের প্রতিটি জেলায় ইপিআই পোর্টার বা ভ্যাকসিন বাহক হিসেবে কাজ করছি। বর্তমানে আমরা দৈনিক মজুরি ৫০০ ও পরিবহন বাবদ ২ হাজার টাকা হিসাবে মাসিক ১৪ হাজার টাকা পাই। এ টাকা আমাদের তিন মাস পরপর একবারে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চাকরি জাতীয় বেতন স্কেলের ২০ তম গ্রেডে জাতীয়করণের মাধ্যমে মূল বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া ওই গ্রেড অনুসারে মোট মাসিক বেতন ১৪ হাজার ৭৮৭ টাকা ও বছরে পাঁচটি বোনাস দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, চাকরি জাতীয়করণের জন্য তারা ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিবের কাছে আবেদন করেন। মন্ত্রণালয় জাতীয়করণের আশ্বাস দেয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হলে সেবারও শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়।
কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুই মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক (প্রশাসন) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পাঠান।
ওইসব কাগজপত্রে পদ সৃষ্টির পাশাপাশি চাকরি জাতায়করণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু দিনশেষে কোনোকিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।
সমিতি থেকে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে সমিতির সভাপতি বাবুল হোসেন তালুকদার বলেন, গ্যাভি, ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচওসহ অন্যান্য দাতা সংস্থা থেকে আমরা যে অর্থসহায়তা পাই, তা সরকারি রাজস্ব খাতে জমা নিয়ে আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে ইপিআই কর্মসূচির ভ্যাকসিন বাহক হিসেবে কর্মরত প্রায় ৫০ জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/একে