প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল ও ফলপ্রসূ: তথ্যমন্ত্রী
১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:০১
ঢাকা: সদ্য ভারত সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সংবাদ সম্মেলন না করলেও সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। ওই সফরে অনেকগুলো চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। তিনি বলেন, সফরের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে বিনা শুল্কে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়া।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরমধ্যে অন্যতম সফলতা হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে অন্য তৃতীয় দেশে বিনা শুল্কে পণ্য রফতানি করা।’
তিনি বলেন, বহুদিন ধরে আলাপ-আলোচনার পর এই সফরে এটি বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে করে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নেপাল-ভুটান তাদের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে। এটি একটি বড় অর্জন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ভারতের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আদায় করা হয়েছে। সমুদ্রসীমা, ছিটমহল আমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই মীমাংসা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও মির্জা ফখরুল সাহেবদের তো মন খারাপ। কেন এত ভালো সফর হলো। ওনাদের কাজ বিভ্রান্তি ছড়ানো। ফখরুল সাহেব বিভ্রান্তি ছড়ানোতেই ব্যস্ত আছেন। মন খারাপের কারণে ওনারা এখন আবোল-তাবোল বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি না হওয়ার পেছনে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাধা নয়। এটি হয়নি সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারের কারণে। রাজ্যের বাধা থাকায় চুক্তিটি হয়নি। আমরা আশা করছি অচিরেই তিস্তা চুক্তিটি হবে। কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে সেটি আমাদের একটি বড় অর্জন।’
তিনি বলেন, ‘আর কেন এতো ভালো সফর হলো সেজন্য বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেবদের মন খুবই খারাপ। তাদের কাজ তো বিভ্রান্তি ছড়ানো। সেটি নিয়েই তারা ব্যস্ত আছেন। অথচ ভারতে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছেন, যেটি তিনি নিজেই ব্যক্ত করেছিলেন, সেই ভিডিও ফুটেজ এখনো আমার কাছে আছে, আপনাদের কাছেও আছে। যে দলের নেত্রী ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের পানি হিস্যার কথা ভুলে যায় তারা আবার এগুলো নিয়ে কথা বলে কোন মুখে?’
মন্ত্রী এসময় প্রেস ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করেন। এমন আয়োজনের জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই কার্যক্রম দেশের মানুষকে উৎসাহিত করবে। দেশে এখন ছাদবাগান হচ্ছে। ১৯৮৭ সালে দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা কৃষক লীগকে দিয়ে সারাদেশে গাছ লাগিয়েছিলেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমসহ জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতারা।
সারাবাংলা/একে