প্যাকেটজাত পণ্যে অতিমুনাফা করছে সুপারশপগুলো: ভোক্তার ডিজি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৩৮
ঢাকা: প্যাকেটজাত পণ্যে সুপারশপগুলো অতিমুনাফা করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘প্যাকেটজাত পণ্য সুপারশপগুলো সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করে। সেক্ষেত্রে খোলা বাজার থেকে দামের ব্যবধান কখনো কখনো ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হয়।’
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর উৎপাদনকারী/সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও সুপারশপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্যাকেটজাত নিত্যপণ্যের (চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, ডাল, লবণ ইত্যাদি) মূল্যের বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অধিদফতরের সভা কক্ষে এ মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি এবং সুপারশপ মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, সুপারশপে ১২০ টাকা কেজি দরে কেনা খোলা সুগন্ধি চাল কিনে সেটি প্যাকেট জাত করে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এটা হতে পারে না। এক কেজি চালে দামের ব্যবধান সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা হতে পারে। প্যাকেটজাত চালের এই অধিক দামের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খোলা বাজারের চালের ক্ষেত্রে। ফলে বাজারে বেড়েছে চালের দাম।
তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা যখন পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছি তখন তারা বলেছে, প্যাকেটজাত পণ্যের গায়ের দাম বাড়াতে চায় সুপারশপগুলো। যার কারণে কোম্পানিগুলো পণ্যের গায়ের সর্বোচ্চ দাম বাড়িয়ে সরবরাহ করে। ফলে দাম বৃদ্ধিতে তাদের হাত রয়েছে।’
মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এ ব্যবধান কমাতে কাজ করা হবে। কত দামে পণ্য বিক্রি করা যাবে সেটা নির্ধারণ করা দরকার। এছাড়াও বিভিন্ন আমদানি পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি করা হয় সুপারশপে। আমদানি পণ্যে যথাযথ তথ্য থাকে না। সেগুলো দেখা হবে এখন থেকে।’
এ সময় সুপারশপ মালিকরা খোলা বাজার থেকে তাদের পণ্যের দামের ব্যবধানের কারণ হিসেবে ৫ শতাংশ বাড়তি ট্যাক্স প্রদানকে উল্লেখ করেন। তারা ট্যাক্স প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তারা দাম বাড়ানোর জন্য খুচরা ব্যবসায়ীদেরও দায়ী করেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনইউ