‘আমরা দৈনিক চাহিদার অতিরিক্ত মাছ খাচ্ছি’
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:২৮
ঢাকা: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতায় মাছ চাষে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আমরা বর্তমানে দৈনিক চাহিদার (৬০ গ্রাম) স্থলে (৬২ গ্রাম) অতিরিক্ত মাছ খেতে পাচ্ছি।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শেকৃবিতে মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ পরবর্তি আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে মৎস্য অধিদফতরের সহযোগিতা ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের আয়োজনে এদিন শেকৃবি’র বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলসংলগ্ন পুকুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পুকুরে রুই জাতীয় ১১০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মাছের পোনা অবমুক্তির পর শেখ কামাল ভবনে অবস্থিত ফিশারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের সভাকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ফিশারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এম শাহাবুদ্দিন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শেকৃবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম ও মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক শামীম আরা বেগম।
শেকৃবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ‘মৎস্যবিজ্ঞানী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সম্প্রসারণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই মাছ উৎপাদনে আজ বিপ্লব সাধিত হয়েছে।’
অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, ‘এখন আমাদের নিরাপদ মাছ উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। মাছ উৎপাদানে যেন মানবদেহের জন্য কোনো ক্ষতিকর হরমোন বা মেডিসিন ব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রফতানির জন্য মাছ উৎপাদনে যেভাবে সতর্ক হব, একইভাবে দেশের মানুষের জন্য মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করব।’
এদিকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণের সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান, ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বি এম মোস্তফা কামাল, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, শেকৃবি’র ফিশারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এম শাহাবুদ্দিন, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন, ফিশারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক আল শামসুল হক ও মৎস্য অধিদফতরের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/পিটিএম