৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৪৭
ঢাকা: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নয় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বহিষ্কার করায় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বহিষ্কৃত ৯ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতেও নোটিশে জানানো হয়।
শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ভিসি), পটুয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) মো. ইসমাইল রহমান, খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নুসরাত জাহানকে নোটিশে বিবাদী করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ই-মেইল যোগে এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশদাতা তিন আইনজীবী হলেন- আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, মো. রোকনুজ্জামান এবং নাইম সরদার।
নোটিশে নয় জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দান, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে নোটিশপ্রাপ্তির ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নয় জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান কোনো যথাযথ কারণ ছাড়াই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেন।
এ ঘটনায় ওই সকল শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর বেদনা। তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলে তিনি বহিষ্কারাদেশের কোনো পরিবর্তন করবেন না বলে জানান।
নোটিশে আরও বলা হয়, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে বহিষ্কার করায় শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি দেশের প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তিকে আলোড়িত করেছে। ঘটনাদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিপীড়নমূলক, বেআইনি এবং অযাচিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম