গুদাম থেকে গায়েব ৩৩৬ টন সার, ৬ বছর পর দুদকের মামলা
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:২৪
পটুয়াখালী: জেলায় বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের (বাফা) গুদাম থেকে ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৩৩৫ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উধাও হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘটনার ৬ বছর পর গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করা হয়।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী বাদী হয়ে পটুয়াখালী বাফার গুদামের সাবেক ডিপো ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত হারুন আর রশিদ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বালিয়াকাঠী (দরবেশবাড়ী) মৃত মো. হুজ্জত আলী হাওয়াদারের পুত্র।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পটুয়াখালীর লাউকাঠীতে অবস্থিত বাফার গুদাম থেকে ৩৩৫ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন সার উধাও হয়। যার আমদানি মূল্য ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৬ টাকা। এ ঘটনায় ২০১৬ সালে আসামি হারুন আর রশিদকে অন্যত্র বদলি করে উপব্যবস্থাপক পদে মো. মশিউল ইসলামকে পটুয়াখালী বাফার গুদামের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর হারুন আর রশিদ গুদামের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার সময় ৩৮৭১.০৫০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ৩৫০৩.৩৫০ মেট্রিক টন সার মজুত পাওয়া যায়।
এতে রেজিস্ট্রার মোতাবেক মজুদের সঙ্গে ৩৬৭.৭০০ মেট্রিক টন সার ঘাটতি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এ থেকে বৃষ্টি/ঝড় জলোচ্ছ্বাসের ঘাটতি হিসেবে ৩১.৭৫ মেট্রিক টন সার বাদ দিলে ৩৩৫.৯৫ মেট্রিকটন সারের ঘাটতি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে দণ্ডবিধি ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধরায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে দুদক সমন্মিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘অনুসন্ধান শেষে মামলা করার জন্য দুদক অনুমোদন করায় পটুয়াখালী কার্যালয়ে মামলা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত শেষে মামলাটি আদালতে পাঠানো হবে।’
সারাবাংলা/এনএস