সীমান্তে মিয়ানমারের গোলা, কূটনীতিকদের জানাল বাংলাদেশ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১৭
ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষ আর বাংলাদেশের ভেতরে গোলা এসে পড়ার ঘটনায় বাংলাদেশের বিদেশি মিশনগুলোকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য নিজ নিজ দেশের সরকারকে জানাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কূটনীতিকরা।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে। সীমান্তে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং প্রাণহানি হচ্ছে, এ পরিস্থিতির জন্য মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে কয়েকবার বলা হয়েছে। আমরা বলেছি, মিয়ানমার সরকার যেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়। মিয়ানমার থেকে আর যেন কোনো গোলা না এসে আমাদের দেশে পড়ে। পাশাপাশি আমরা এশিয়ান দেশগুলোকেও বিষয়টি জানিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এবার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধানদের নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। তাদের বলেছি, আমরা এমন কোনো কাজ করিনি যে, তারা আমাদের দেশে যুদ্ধ বিমান থেকে গোলাবারুদ ছুড়তে পারে। এতে সীমান্তবর্তী বসবাসকারী জনগণের মধ্যে আতংক তৈরি হচ্ছে এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা ব্যহত হচ্ছে। তারা তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন না তা তো হতে পারে না।’
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা কূটনীতিকদের বলেছি যে, আমরা এখনো বিষয়টি চরম ধৈর্য্যের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমরা কোনোভাবেই এতে জড়িত হতে চাই না। এখানে জড়িত হলে মিয়ানমার সুযোগ পাবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার সুযোগ পাবে। এটা আমরা দিতে চাই না।’
বৈঠকে কূটনীতিকরা বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, তারা তাদের নিজ নিজ সরকারকে বিষয়টি জানাবেন। যাতে ভবিষ্যতে তাদের কিছু করণীয় থাকে। বিশেষ করে জাতিসংঘে কিছু করার থাকলে সে বিষয়ে তারা সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বান্দরবানের ঘুমধুম ঘোনারপাড়া সীমান্তে শূন্যরেখায় মর্টারের গোলা এসে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মোহাম্মদ ইকবাল নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আট জন। এর প্রতিবাদ জানাতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে দেওয়া প্রতিবাদ পত্রে জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে আর যেন কোনো গোলাবারুদ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে না পড়ে।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম