ঢাকা: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। আগামীকাল (বুধবার) তাদের পদত্যাগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা পদত্যাগ করেছি। আগামীকাল আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করব।
৫ সদস্য বিশিষ্ট ই-ভ্যালির বোর্ডে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ এবং কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এর আগে ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার মা ও বোন জামাইকে নতুন পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এতে বলা হয়, ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের মিটিংয়ে তাদের নতুন পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে। তার আগেই মঙ্গলবার বোর্ডের সবাই পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে গত ১০ আগস্ট ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে আদালতের মাধ্যমে গঠিত বোর্ডের কাছে আবেদন করেন কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তিনি নিজেকে এবং তার মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করারও আবেদন করেন। শামীমা নাসরিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ওই আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করেন। বোর্ড গঠনের ১১ মাসের মাথায় সবাই পদত্যাগ করেন।
