Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বগুড়ায় স্বতন্ত্র এমপির ওপর হামলা, পিস্তল উঁচিয়ে গুলির হুমকি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:০৪

বগুড়া: জেলার শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের স্বতন্ত্র  সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা চলাকালে উপজেলা পরিষদের দোতলায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রেজা ও যুবলীগ নেতা বাদশা আলমগীর আহত হয়েছেন। এসময় এমপি বাবলু তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন ছান্নুর নির্দেশে এ হামলা হয়েছে বলে দাবি এমপি বাবলুর।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সোহরাব হোসেন ছান্নু বলেন, এমপি রেজাউল করিম বাবলু তার ব্যক্তিগত পিস্তল উঁচিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনকও বটে।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য বাবলু এবং তার শ্যালক ও ব্যক্তিগত সহকারী রেজা বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলে যুবলীগ নেতা বাদশা আলমগীরসহ বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। দীর্ঘদিনেও সেই প্রকল্প না দিয়ে টালবাহানা করছিলেন। আজ সকালে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেয়ার জন্য সংসদ সদস্য উপজেলা পরিষদে আসেন। এমপি বাবলু ও তার ব্যক্তিগত সহকারী রেজাকে পেয়ে যুবলীগ নেতারা টাকা ফেরত চান। এনিয়ে হট্টগোল শুরু হলে আমি থামানোর জন্য এগিয়ে যাই। এসময় সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু তার ব্যক্তিগত পিস্তল বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার দিকে তাক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও পরিষদের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীরের নেতৃত্বে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে দাবি করে এমপি রেজাউল করিম বাবলু বলেন, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। এর আগে কখনই আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেয়নি। তবে আমি অসুস্থ থাকায় বাড়িতেই ছিলাম তাই ভাবলাম আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেবো। এ জন্য আমি নির্বাহী কর্মকর্তাকে টেলিফোনও করেছিলাম। আজ উপজেলা পরিষদে পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দেয়ার আগে আমি ইউএনও’র সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার কক্ষের সামনে অপেক্ষা করছিলাম। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীরের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। হামলায় আমার ব্যক্তিগত সহকারী রেজা গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় আমি আত্মরক্ষার্থে আমার লাইসেন্স করা ব্যক্তিগত পিস্তল বের করি।

প্রকল্প দেয়ার নামে যুবলীগ নেতাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি বাবলু বলেন, এটা মিথ্যা কথা। আমি তার কাছ থেকে টাকা নেবো কেন?

উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীর বলেন, প্রকল্পের নামে শুধু আমার কাছে নয়, অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা নিয়েছেন।

সারাবাংলা/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর