Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে রাজের প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা

ইবি করেসপন্ডেন্ট
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:২৮

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম হোসেন রাজ। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুয়াদপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রশিদের ছেলে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে ভর্তি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইচ্ছে ছিল পরিবারের হাল ধরবেন, উল্টো নিজেই পরিবারের বোঝায় পরিণত হয়েছেস। রাজ ‘র‌্যাডিকিউলোপ্যাথি’ রোগে আক্রান্ত।

রাজের প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসা। এতে খরচ হবে ১০ লাখ টাকারও বেশি। এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন রাজ ও তার পরিবার। ব্যয় বহনে অপারগ হওয়ায় বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন রাজ।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাডিকিউলোপ্যাথির প্রভাবে শক্তি কমে আসছে মোস্তাকিমের পায়ের। পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে তাকে। মাঝেমধ্যে হাঁটতেও পারেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা ভারতে গিয়ে অস্ত্রোপাচারের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে টাকার অভাবে অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না রাজ। ফলে অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।

১২ বছর বয়স থেকে পায়ের সমস্যা দেখা দেয় রাজের। দুই পায়ের শক্তি কমে যাওয়ায় মাঝেমধ্যে লাঠি নিয়ে চলতে হতো তাকে। দশম শ্রেণিতে পড়াকালে চলাচলের শক্তি হারাতে বসেন রাজ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় তার শরীরের নিচের অংশের শিরাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এ সময় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তিনি তা পারেননি। ২০১৮ সালে আবারও সমস্যা বেড়ে যায়। এখন আর লাঠি ছাড়া চলতে পারেন না তিনি।

২০২১ সালে ভারতের ভেলরে সিএমসি হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট কনসালট্যান্ট ডা. সুভরনসু শেখরের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করেন রাজ। এ সময় অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে ভারতে যেতে বলেন ডা. শেখর। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় অস্ত্রোপচার করতে পারে পারেননি। সর্বশেষ গত ১৮ আগস্টও অস্ত্রোপচারের জন্য ভারতে যাওয়ার কথা ছিলো, এখনও টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না রাজ।

বিজ্ঞাপন

মোস্তাকিম হোসেন রাজ বলেন, ‘চিকিৎসকরা কয়েক দফায় আমাকে অস্ত্রোপচার করতে বললেও টাকার অভাবে তা পারিনি। বর্তমানে দিনের পর দিন অবস্থা আরও ভয়াবহ হচ্ছে। পা চিকন হয়ে যাচ্ছে। পায়ের শক্তি হারিয়ে ফেলছি। আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে চাই। এজন্য সবার কাছে সাহায্যের আবেদন করছি।’

সাহায্য চেয়ে রাজের বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘অন্যের জমিতে কাজ করে যা আয় হয় তাতেই সংসার চলে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ছেলেকে অনেক আগেই ভারতে নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল। টাকা জোগাড় না হওয়ায় নিতে পারিনি। এখন আর দেরি করার সুযোগ নেই। আমার ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে সবার সহযোগিতা চাই।’

রাজকে সহায়তার জন্য টাকা পাঠানোর মাধ্যম- নগদ ও রকেট: ০১৭৪১-৩২০৮২৫, বিকাশ- ০১৫১৭-১৯২০৪২ এবং অগ্রণী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নং-১১৯৩২।

সারাবাংলা/এমও

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক জীবন

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর