রিডিং রুমসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত বশেমুরবিপ্রবির হলগুলো
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:১৬
বশেমুরবিপ্রবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হবে বিশ্বমানের। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলানোর ক্ষমতা অর্জন করবে। শিখবে নৈতিকতা, মহানুভবতা ও মননশীলতা। তবে পূর্ণপরিসরে সেই সুযোগ পায় না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের নানা সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে বশেমুরবিপ্রবি। ক্যাম্পাসে নেই ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। যেখানে অবাধ চলাচলের মাধ্যমে শিক্ষকদের থেকে জ্ঞান আহরণের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নেই যথাযথ ব্যবস্থা। খাবারের রুমে জায়গার অভাবে থালা হাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেতে হয় অনেককে।
নেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ, রিডিং রুম ও ইনডোর খেলার রুম। এছাড়া বিনোদনের জন্যও নেই আলাদা টিভি রুমের ব্যবস্থা। আবার খাবারের কক্ষে পড়তে হয় পত্রিকা, সেখানেই উচ্চশব্দে চলে টেলিভিশন। টেলিভিশনের উচ্চশব্দের সঙ্গে আছে খেলায় চার, ছয়ের আনন্দের চিৎকার ও হাততালির শব্দ। কেউ আবার এক কর্নারে ক্যারাম খেলেছেন— এই হলো বশেমুরবিপ্রবি’র হলগুলোর নিত্যদিনের চিত্র।
হলের অসুবিধার কথা উল্লেখ করে শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শামসুর রাহমান পাভেল বলেন, ‘আমাদের হলগুলোর পরিবেশ ভালো। তবে অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুযোগ-সুবিধা কম। শুধু হল সুবিধায় নয় অবকাঠামোগত সুবিধায়ও আমরা পিছিয়ে। যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি সেহেতু অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুযোগ সুবিধা পাব— এইটুকু আশা করতেই পারি।’
বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, ‘হলের অবস্থা তো সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিছুদিন আগেও আমরা বেড শেয়ার করে থাকতাম। আর হলে বড় রিডিং রুম দরকার, যাতে বেশি শিক্ষার্থী পড়া যায়। একইসঙ্গে টিভিরুম আর পত্রিকা রুম অবশ্যই আলাদা হাওয়া জরুরি।’
এ বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট এমদাদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধার দাবিদার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, ক্যাম্পাসের জায়গার পরিমাণ কম, আবার হলের গঠনগত দিক থেকেও কমতি আছে। তাই এসব সুবিধা থেকে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত। তবে এসব সুবিধা তারা অবশ্যই পাবে সেটা অতি শিগগিরই হাওয়া জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ খুব শিগগিরই শেখ রসেল হলে এসব সুবিধা আসছে। আমাদের কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ হচ্ছে দ্রুত। সেখানে আমরা একটি গেস্ট রুম, আলাদা বড় ইনডোর গেমস রুম, এবং আলাদা টিভি রুমের ব্যবস্থা করতে পারব। বড় একটি রিডিং রুম এবং বর্তমানের থেকে বড় প্রার্থনা রুমের ব্যবস্থা করার চিন্তা আছে।’
শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী উপদেষ্টা ড. শরাফত আলী জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে হলের সকল সুবিধা পাওয়া তাদের অধিকার। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নতুন, পরিসর কম, অবকাঠামো কম- তাই কিছু সুবিধা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত। তবে আশাকরি শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবে আমাদের শিক্ষার্থীরা।’
সারাবাংলা/এনএস