৩ অক্টোবরের পর মিলবে না করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৪৫
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর থেকে দেশে আর কাউকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
গতকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
অধ্যাপক ডা. খুরশিদ বলেন, ‘আজ (বুধবার) থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে, যা চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এই বিশেষ কর্মসূচি তাদের জন্যই, যারা এখনো ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেননি। এরপর থেকে আর ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। তবে বুস্টার ডোজ চলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করতে চাচ্ছি। কারণ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো এবং কিছু মানুষ এখনো ভ্যাকসিন নেননি। তবে এর মধ্যেই দেশে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ, ৯০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
ভ্যাকসিনে পরিমাণের স্বল্পতা রয়েছে, সঙ্গে কিছু ভ্যাকসিনের মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। তবে কোন কোম্পানির ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব ভ্যাকসিন একসঙ্গে আসেনি। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভ্যাকসিন এসেছে। তাই সব ভ্যাকসিনের মেয়াদই শেষ হয়ে যাচ্ছে- বিষয়টি এমনও নয়।
বর্তমানে ৩ কোটি ভ্যাকসিন হাতে রয়েছে বলেও উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি আরও বলেন, ‘চতুর্থ ডোজ নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো নির্দেশনা দেয়নি। যেসব দেশে চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তারা নিজেদের দেশের প্রটোকল মেনে এটা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি নির্দেশ দেওয়া তাহলে তখন সেটা করা হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকাদান কর্মসূচি কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘ভ্যাকসিন এখনো আমাদের পাইপলাইনে রয়েছে, কিন্তু হাতে থাকা ভ্যাকসিন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো আনা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘৫ থেকে ১১ বছর শিশুদের চলমান ভ্যাকসিন আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে করা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিতে ৭৮ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সারাবাংলা/এসবি/এনএস
অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম করোনা ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস