Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নির্বাচন প্রতিহত করতে এলে জনগণ প্রতিরোধের আগুন জ্বালাবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ অক্টোবর ২০২২ ২১:২২

ঢাকা: বিএনপির উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন যদি প্রতিহত করতে আসেন, সারাবাংলায় জনগণ প্রতিরোধের আগুন জ্বালাবে। আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া শুরু করেছেন; ভালো হচ্ছে না। আবারও বলে দিচ্ছি এইসব করতে গেলে খবর আছে, পাল্টা জবাব পাবেন।

শনিবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর হাজারীবাগে থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ইভিএম ছাড়া ভোট হলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, তিনি রাজনীতি করেন, শিক্ষকতা করেছেন কিন্তু জ্যোতির্বিদ্যা জানেন এটি জানতাম না। তিনি বললেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। তিনি জ্যোতিষী ফখরুল। জ্যোতিষী ফখরুল আমাদের ৩০টি আসনও দেবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফখরুল সাহেব আপনাদের দেশনেত্রী ২০০৮ সালে বলেছিল আমরা ৩০টি আসনও পাব না। ২০০৮ সালের ইলেকশনে কী হলো? বিএনপি ৩০ আসন পাইছে? এখন আবার সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব দিচ্ছে। ভোট এখনও ১২/১৩ মাস বাকি। ভোটে কী হবে সেটি জানেন আল্লাহ পাক। সেটি জানেন এ দেশের জনগণ। ফখরুলের কথায় তো জনগণ ভোট দেবে না।’

হাজারীবাগে বিএনপির কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের আহত করার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব এখন আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া শুরু করেছেন; ভালো হচ্ছে না। এইসব করতে গেলে খবর আছে। আবারও বলে দিচ্ছি খবর আছে। পাল্টা জবাব পাবেন।’

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ফখরুল সাহেব গতবারও আপনারা ভোটে আসবেন না, এটিই তো জানতাম। গাধা কিন্তু পানি ঘোলা করে খায়, শেষ পর্যন্ত পানি খায়। কিন্তু পানিটা ঘোলা করে খায়। ঘোলা করে এমন সময় আসবেন তখন ২২ দলীয় জোট জগাখিচুড়ি, ছত্রভঙ্গ অবস্থায়, গতবারের মতো মনে আছে?’

‘নির্বাচনে আসা না আসা আপনাদের অধিকার। আপনারা না এলে আপনাদের সিদ্ধান্ত। আমরা চাই একটি বড় দল বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক। না এলে আমরা জোর করে আনব না। দেশে সংবিধান আছে, নিয়ম-কানুন আছে, নির্বাচন কমিশন আছে; কাউকে জোর করে জবরদস্তি করে নির্বাচনে আনার দরকার আমাদের নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণ এটি আপনাদের জন্য কোনো সুযোগ নয়, এটি হলো আপনাদের অধিকার। একটি রাজনৈতিক দলের অধিকার। না এলে না আসুন। কিন্তু বলে দিতে চাই নির্বাচন যদি প্রতিহত করতে আসেন সারাবাংলায় জনগণ প্রতিরোধের আগুন জ্বালাবে।’

‘নির্বাচন হবে সংবিধানে যেমন আছে তেমন হবে। ফখরুলের মনগড়া কথায় ইলেকশন হবে না। ইলেকশন হবে বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী’ বলে দাবি করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দুনিয়া আধুনিক টেকনোলজির যুগে যাচ্ছে। আর এরা (বিএনপি) তো ভোট ডাকাতির সর্দার। ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভোট ডাকাতির সর্দার। ভোট ডাকাতি করার জন্য ব্যালট চায়। কোনোভাবে যদি ডাকাতি করা যায় চুরি করা যায়। আর আমরা ভোট ডাকাতি বন্ধ করার জন্য ইভিএম চাই।’

বৈশ্বিক সংকটের কারণে জ্বালানিসহ দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণকে সহনশীল হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আপনাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। ইনশাল্লাহ এই দুর্দিন কেটে যাবে। আসুন আমরা সুদিনের প্রত্যাশায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাই। বিএনপি নিতে জানে দিতে জানে না। শেখ হাসিনা দিতে জানেন, নিতে জানেন না। যার কাছে পান তার উপর আস্থা রাখুন। শেখ হাসিনা মানুষের উন্নয়ন করেছেন। তিনি পকেটের উন্নয়ন করেননি। কাজেই সাময়িক অসুবিধার জন্য আমাদের নেত্রীকে ভুল বুঝবেন না।’

হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এনআর/একে

ওবায়দুল কাদের বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর