‘আমদানি নিয়ন্ত্রণ ডলার সংকটের স্থায়ী সমাধান নয়’
৪ অক্টোবর ২০২২ ২২:০০
ঢাকা: বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, এখানকার চেয়েও অনেক বেশি দাম বেড়েছে প্রতিবেশি দেশগুলোতে। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে বাংলাদেশের বাজারের চেয়েও ডলারের বাজার চড়া। ফলে বাংলাদেশও কিছুটা চাপে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সংকট সমাধান করা স্থায়ী সমাধান নয় বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগামীকাল (বুধবার) থেকে অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে চার বছর দায়িত্ব পালন মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। ফলে মঙ্গলবার ছিল নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবস।
বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডলারের বৈশ্বিক চাপ সামাল দিতে বাংলাদেশকে রফতানি বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যবসায়ীদের কাজ করতে হবে। এটা করতে পারলেই দ্রুত এ সংকট কেটে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি রেমিট্যান্স কিছুটা কম এসেছে, আবার রফতানি আয়ের পরিমাণও কমছে। এতে রিজার্ভে কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছে সত্য। তবে এ চাপ থাকবে না। আশা করছি, রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়বে।’
ডলারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে ডলারের দাম স্বাভাবিক হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাজারে কোনো ডলার সাপোর্ট দেওয়া উচিত না। এবিবি ও বাফেদাও ভূমিকা রাখছে ডলারের সংকট কাটিয়ে উঠতে। বর্তমানে ডলারের অস্থিরতাও কিছুটা কমেছে।’
রিজার্ভ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডলার বিক্রিতে রিজার্ভ কমেছে, এটা সত্য। কিন্তু রিজার্ভ তো বিভিন্ন কাজে লাগাতে হবে। এটা বাড়বে-কমবে স্বাভাবিক। আবার এক জায়গায় যে রিজার্ভ স্ট্যাবল রাখতে হবে বিষয়টা এমন না। আবার রিজার্ভ থেকে ইডিএফ ফান্ডে যে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার উদ্দেশ্য সঠিক ছিল। এখানকার টাকা নিয়ে যদি কেউ ফেরত না দেন, সেটাও বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে।’
উল্লেখ্য, আমদানিতে নানা শর্তের পরও দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (রিজার্ভ) কমছে। গত বছর ২৫ আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন। বর্তমানে তা কমে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে এসেছে।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম