ইরানকে আরও পাট ও পাটপণ্য কেনার আহ্বান
১১ অক্টোবর ২০২২ ১৯:২৯
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ইরানকে পাট ও পাটপণ্য কেনার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) গুলশানের ডিসিসিআই সেন্টারে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকারে ডিসিসিআই সভাপতি এ আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই বাংলাদেশ ও ইরান ডি-৮-এর সদস্য। সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, যোগাযোগ, এভিয়েশন প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে দেশ দু’টি একযোগে কাজ করতে পারে।’
দুই দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সঙ্গে ইরানের চাবাহার বন্দরের সরাসরি জাহাকীকরণ ব্যবস্থা চালুকরণে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান রিজওয়ান রাহমান।
ডিসিসিআই সভাপতি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৮.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ০.৩০ এবং ১৮.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাক, কাঁচা পাট ও পাটপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য, হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, চা, ঔষধ, সিরামিক প্রভৃতি পণ্য বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে আমদানির জন্য ইরানের উদ্যোক্তাদের তিনি প্রতি আহ্বান জানান।
ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভুশি বলেন, ‘সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখনও কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তিনি দুই দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিটুবি সেশন আয়োজন ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আদান-প্রদানের প্রস্তাব করেন।’
তিনি জানান, বাংলাদেশের কৃষিখাতের আধুনিকায়ন এবং কৃষি পণ্যের বহুমুখী করণে একযোগে কাজ করতে ইরান অত্যন্ত আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাই দেশ দুটির অর্থনীতিকে আরও বেগবান করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, তাই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নিরসন করা প্রয়োজন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ