ঢাকা: বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি জট নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সেইসঙ্গে তিনি ফের দুই মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ বেতারের শুধুমাত্র অনুষ্ঠান বিভাগে শূন্য পদ না থাকায় এবং অবসরজনতি কারণ ছাড়া শূন্য পদ সৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় কর্মকর্তাদের উচ্চতর বিভিন্ন পদে পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বেতারের সাংগঠনিক কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগে বর্তমানে কর্মরত ৯২ জন সহকারী পরিচালকের (অনুষ্ঠান) মধ্যে ৭১জন কর্মকর্তা উপপরিচালক পদে এবং ৮৩ জন উপপরিচালকের মধ্যে ৬৪ জন কর্মকর্তা আঞ্চলিক পরিচালক পদে পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন। একইভাবে আঞ্চলিক পরিচালক ও পরিচালক পদেও পদোন্নতি জট বিরাজমান। পদোন্নতি জট এতটাই প্রকট যে, বর্তমানে অনুষ্ঠান বিভাগে কর্মরত মোট ২১১ জন কর্মকর্তার মাঝে ১৪৩ জন কর্মকর্তা পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন।
চিঠির মাধ্যমে জানা যায় যে, ২৮তম বিসিএস থেকে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগে যোগ দেওয়ার পর ১২ বছরেও এই ব্যাচের কর্মকর্তারা তাদের প্রথম পদোন্নতি পাননি। উপরন্তু বর্তমানে কর্মরত ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। পদ সৃষ্টি ছাড়া উপর্যুক্ত ব্যাচের ক্যাডার কর্মকর্তাদের চাকরিতে যোগদানের ২০ বছরেও পদোন্নতির কোনো সুযোগ নেই।
চিঠিতে ইনু উল্লেখ করেন যে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি সম্পর্কিত প্রস্তাবনা পাঠানোর পর এক বছর পার হলেও তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যা সত্যিই দুঃখজনক। ফলে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি জট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সেজন্য অহেতুক কালক্ষেপণ না করে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের রেজ্যুলেশনসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জরুরি ভিত্তিতে চিঠি পাঠানোর জোর তাগিদ দেন তিনি।