Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খাগড়াছড়িতে ‘কঠিন চীবর দান’ উৎসব শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ অক্টোবর ২০২২ ১১:০০

খাগড়াছড়ি: ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর (কাপড়) তৈরি করার পর তা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দানের মাধ্যমে অতিরিক্ত পুণ্য সঞ্চয় হয় বলেই বৌদ্ধ শাস্ত্রে এই দানকে শ্রেষ্ঠ দান বলা হয়।

চলতি বছর খাগড়াছড়িতে ২৬টি বন বিহারসহ ৪ শতাধিক বৌদ্ধ বিহারে এ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আষাঢ়ী পূর্ণিমার পর দিন থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাসব্যাপী ওয়া বা বর্ষাব্রত পালন শুরু হয়েছিলো, যা গত রোববার শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

তিন মাস পর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মাঝে আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে প্রবারণা পূর্ণিমা। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) থেকে বিহারে বিহারে শুরু হয়েছে কঠিন চীবর দানোৎসব। চলবে পুরো একমাস। নভেম্বর মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত।

কঠিন চীবর দান বলা হয় কারণ প্রথমে চরকার মাধ্যমে তুলা থেকে সুতা তৈরি করা হয়, সুতায় রং করা হয়, পরে রং করা সুতা ব্যবহার তৈরি করা হয় চীবর বা কাপড় এবং দান করা হয় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের। আর পুরো কাজটা শেষ করতে হয় একদিনের মধ্যে। সেই জন্যই এই কাপড় দান কঠিন চীবর দান নামে পরিচিত।

খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সুবল জ্যোতি চাকমা বলেন, ‘কঠিন চীবর উৎসবকে ঘিরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পূণ্যের আশায় চীবর দানসহ নানা ক্রীয়াকর্ম পালন করে থাকে। দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যান কামনা করা হয়।’

খাগড়াছড়ির ধর্মপুর আর্যবন বিহারের উপাধ্যক্ষ সমাধি নন্দ স্থবির ভান্তে বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মে চীবর দান সর্বোচ্চ দান। বুদ্ধের মহা উপাসিকা বিশাখা এই
কঠিন চীরব দান প্রর্বতন করেন। বুদ্ধ ধর্মমতে এই দানের ফল অপরিসীম। কঠিন চীবর দানোৎসব দিনে শুধু চীবর দান নয়, সাথে থাকে বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান,কল্পতরু দান,বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ডসহ নানাবিধ দান।’

বিজ্ঞাপন

মাসব্যাপী শুরু হওয়া এই চীবর দানের মাধ্যমে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পুনর্জন্ম ও কর্মফলে বিশ্বাসী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কায়িক, বাচনিক ও মানসিক বাসনা পূর্ণ হবে এবং দেশ জাতি সবার মঙ্গল বয়ে আনবে এমনটাই প্রত্যাশা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের।

সারাবাংলা/এমও

কঠিন চীবর দান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর