সাড়ে ৫ মাস পর মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলন শুরু
১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৫৭
দিনাজপুর: দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল থেকে পাথর উত্তোলনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল থেকে সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে বিকেলে পূর্ণমাত্রায় উত্তোলন কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা।
মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মীর পিনাক ইকবাল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খনি সূত্রে জানা যায়, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেডসহ (বিস্ফোরক) বিস্ফরক দ্রব্য সংকটে চলতি বছরের ১লা মে খনিটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ১৩ মার্চ একই কারণে খনি বন্ধ হলে আবারও ২৮ মার্চ চালু করা হয়। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরকের জোগান দিতে না পারায় ১৫ দিনের মধ্যে আবারও শেষ হয় খনির অপরিহার্য এই কাঁচামাল।
এমজিএমসিএল সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে ১০০টন (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেড) উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক খনিতে পৌঁছেছে। ১৫ অক্টোবর আরও ১২০টন চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা রয়েছে। এ ছাড়া চলতি মাসের শেষে আরও ১৫০টন বিস্ফোরক বেনাপোলে পৌঁছার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ছয় মাস নিরবচ্ছিন্ন খনি পরিচালনা করা সম্ভব হবে। বর্তমানে খনি থেকে পাথর উত্তোলনের কাজ করছেন বেলারুশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া স্ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। চুক্তি অনুযায়ী পাথর উত্তোলনের জন্য যাবতীয় মেশিনারিজ, ইকুইপমেন্ট ও বিস্ফোরক যোগান দেবে এমজিএমসিএল। আর প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার ৫০০টন পাথর উত্তোলন করবে জিটিসি।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত সাড়ে পাঁচ মাস খনি বন্ধ থাকায় একদিকে ঠিকাদার কোম্পানিকে লোকসান গুনতে হয়েছে। অন্যদিকে বিপুল পরিমান রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে সরকারের।
এ বিষয়ে মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক মীর পিনাক ইকবাল বলেন, ‘উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক দ্রব্নিতে পৌঁছে গেছে। সকাল থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে বিকেলে উত্তোলন কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করা যায় প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হবে।’
সারাবাংলা/ইআ