ট্রলার-জাহাজডুবি: মিলল আরও ২ লাশ, এখনও নিখোঁজ ২
১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৪৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে পৃথকভাবে ফিশিং ট্রলার ও লাইটারেজ জাহাজডুবির ঘটনায় আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ট্রলারের নাবিক এবং আরেকজন অতিথি হিসেবে যাওয়া আরেক নাবিকের বাবা বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
মাছ ধরার ট্রলারের সাতজন ও জাহাজের ছয়জনসহ মোট ১৩ নাবিক নিখোঁজ ছিল। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুইজনসহ মোট লাশ উদ্ধার হয়েছে ১১ জনের। আরও দুইজন এখনও নিখোঁজ আছে বলে কোস্টগার্ড জানিয়েছে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আল আমিন সারাবাংলাকে জানান, মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিন রুম থেকে একজন এবং ক্রু-কেবিন থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ সবার লাশ উদ্ধারের পর তল্লাশি অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ওসি মো. একরাম উল্লাহ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, সর্বশেষ উদ্ধার হওয়া লাশ দু’টি ট্রলারের গ্রিজারম্যান প্রদীপ চৌধুরী এবং ট্রলারে নাবিক রাকিবের বাবা আবদুল মোতালেবের, যিনি সেখানে অতিথি হিসেবে উঠেছিলেন।
গত ১১ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকার সী-রিসোর্স ঘাটের কাছে বয়া এলাকায় র্যাঙ্কন কোম্পানির মালিকানাধীন ‘এমবি মাগফেরাত’ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার নদীতে ডুবে যায়। ট্রলারটি মেরামতের জন্য ডকে তোলার সময় প্রপেলার (পাখা) খুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে থাকা বয়া এবং আরও কয়েকটি ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল।
জাহাজটিতে মোট ১৬ জন নাবিক ছিল। এর মধ্যে ৯ জন নিরাপদে তীরে উঠতে সক্ষম হন। নিখোঁজ ছিলেন সাতজন। এদের মধ্যে পাঁচজনের লাশ ১৩ অক্টোবর উদ্ধার হয়। এরা হলেন- ট্রলারের ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আবদুল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার জহিরুল ইসলাম, চীফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, ফিশ মাস্টার জহির উদ্দিন এবং ডক সদস্য রহমত।
১২ অক্টোবর বিকেলে নগরীর পতেঙ্গার কাটগড়ে চরপাড়া ঘাটের অদূরে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে বঙ্গোপসাগরে পাথরবোঝাই লাইটারেজ জাহাজ ‘এমভি সুলতান সানজানা’ ডুবে যায়। জাহাজটিতে মোট ৯ জন ছিল। কোস্টগার্ড জীবিত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করেছিল। নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে চারজনের লাশ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) উদ্ধার হয়।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুইজনকে আমরা এখনও পাইনি। মনে হচ্ছে ভেসে দূরে চলে গেছে। এরপরও আমরা অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করিনি। অব্যাহত আছে।’
সারাবাংলা/আরডি/ইআ