Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খোঁজ নেয় না ৩ সন্তান, ভরণপোষণের দাবিতে মায়ের মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৪ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩৫

রাঙামাটি: বৃদ্ধা মায়ের খোঁজ নেয় না তিন ছেলে-মেয়ের কেউই। অবশেষে বয়সের ভারে ন্যুব্জ সেই মা ছালমা বেগম (৭৩) দ্বারস্থ হলেন আদালতের। পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইনে তিন সন্তানের নামে মামলা করেছেন তিনি।

গতকাল রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাঙামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা বেগম মুক্তার আদালত মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষ ও লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালিমা ওয়াহিদা।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাদী ছালমা বেগম (৭৩) রাঙামাটি সদর উপজেলার ১০২ নম্বর রাঙাপানি মৌজার মৃত আহম্মদ কবীরের স্ত্রী। অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন- ছালমা বেগমের দুই ছেলে নুর আহাম্মদ ও ছালেহ আহম্মদ এবং মেয়ে আমেনা বেগম। এরমধ্যে নুর আহাম্মদ চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মিঠাছড়াকুল ও ছালেহ আহম্মদ রানীর হাটের টিলাপাড়ায় এবং মেয়ে আমেনা বেগম রাঙামাটি শহরের আলম ডকইয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা।

ছালমা বেগমের চার সন্তান থাকলেও আরেক সন্তান ফয়েজ আহম্মদ মাসিক ৩ হাজার করে অর্থ দিলেও এতে তার চিকিৎসা ও ভরণপোষণ চলছে না।

মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, বাদী বয়োবৃদ্ধ ছালমা বেগমের নিজ গর্ভজাত ৪ পুত্র-কন্যা রয়েছেন। ১ নম্বর আসামি নুর আহম্মদ প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন ও ২ নম্বর আসামি ছালেহ আহম্মদ বাসের সুপার ভাইজার। ছালমা বেগমের দ্বিতীয় পুত্র ফয়েজ আহম্মদ মাসে কেবলমাত্র ৩ হাজার টাকা চিকিৎসাসহ ভরণপোষণের জন্য দেন। এরমধ্যে অন্য ৩ ছেলেমেয়ে দীর্ঘ ১০-১৫ বছর যাবৎ বাদীকে দেখাশুনা ও ভরনপোষণ দেওয়া থেকে বিরত আছেন।

এছাড়া জেলার সদর উপজেলাধীন রাঙাপানি মৌজার ভেদভেদী মুসলিম পাড়ায় বাস করতেন ছালমা বেগম। কিন্তু এই জায়গা থেকে নূর আহম্মদ ও ছালেহ আহম্মদ পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে বর্তমান ঠিকানায় জায়গা কিনে বসবাস করছেন। মেয়ে আমেনা বেগম ছালমা বেগমের অসুস্থতার সময় তার সব স্বর্ণের গয়না নিজ হেফাজতে নিয়ে আত্মসাৎ করে।

বিজ্ঞাপন

তবে এ বিষয়ে বাদী লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ দায়ের করলে লিগ্যাল এইড অফিসারও আপস মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। বাদী এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষও মামলা নেয়নি।

মামলার বাদীপক্ষ ও লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালিমা ওয়াহিদা জানান, আসামিরা দীর্ঘ ১০-১৫ বছর ধরে তাদের মায়ের কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না। কিছুদিন আগে বৃদ্ধ মা আগুনে পুড়লেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। বছর পাঁচেক আগে ছালমা বেগমের স্বামী ও আসামিদের পিতার মৃত্যুর পর তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে, কিন্তু মায়ের ভরণপোষণ নিচ্ছে না। বৃদ্ধা মা লিগ্যাল এইডে অভিযোগ করলেও আসামিরা কেউই ধরা দেননি। এখন বাধ্য হয়েই আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলা রেকর্ডভুক্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।’

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর