আনসার সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী
২৫ অক্টোবর ২০২২ ০০:৪৭
বগুড়া: অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা করাতে এসে আনসার সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রুমা আকতার।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) নবজাতক ওয়ার্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আনসার সদস্যদের হাতে স্ত্রীসহ মারধরের শিকার শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)পদে কর্মরত আছেন। তিনি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বাসিন্দা।
জানা গেছে, শহিদুল দম্পতি দেড় মাস আগে তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ছেলে সন্তান দত্তক নিয়ে লালন-পালন শুরু করেন। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত শুক্রবার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসক ওয়ার্ডে প্রবেশ করে ভর্তিকৃত শিশুদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেন। এ সময় শিশুদের মা ছাড়া সবাইকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়া হয়। শহিদুল ইসলাম ওয়ার্ডের দরজায় দাড়িয়ে তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন ও ব্যাগ জানালার সঙ্গে রেখে পাহারা দিচ্ছিলেন। সেখানে ডিউটিরত আনসার সদস্য রবেল দরজার সামনে থেকে শহিদুল ইসলামকে সরে যেতে বলেন।
শহিদুল ইসলাম নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন দরজার সামনে থেকে সরে গেলে ফোন এবং ব্যাগ হারিয়ে যেতে পারে। এ কথায় আনসার সদস্য রুবেল পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায় সহকারী আনসার কমান্ডার মেজবাহ ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুলকে ধরে উপ-পরিচালকের কক্ষের সামনে নিয়ে গিয়ে মারধর শুরু করেন। স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে স্ত্রী রুমা আকতার উদ্ধার করতে গেলে আনসার সদস্যরা তাকেও মারধর করেন বলে জানান শহিদুল ইসলাম।
শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ও তার স্ত্রীকে আনসার সদস্যদের কবল থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ঘটনার পরপরই শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদের কক্ষে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক বসে। সেখানে মারধরের শিকার শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী রুমা আকতার ও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটি ভর্তিকৃত রোগীর লোকজনের সঙ্গে আনসার সদস্যদের কথাকটাকাটির এক পর্যায় হাতাহাতি হয়। সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।’
সারাবাংলা/একে