ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের ছয় বিভাগেই বৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলায়। জানা গেছে, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, সারাদিন বর্ষণে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ১২৫ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এ পরিস্থিতি থাকতে পারে আরও একদিন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে রংপুর বিভাগ ছাড়া সারাদেশে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়া বইছে।
রাজধানী ঢাকায় রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ঢাকার অনেক সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। এদিন ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছিল। সংস্থাটি বলছে, মঙ্গলবার ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ স্থানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণও হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় খেপুপাড়ায় সবচেয়ে বেশি ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ভোলায় ২৪৪ মিমি, বরিশালে ২৬০ মিমি, পটুয়াখালীতে ২৫৩ মিমি, মোংলায় ২১৯ মিমি, খুলনায় ১৮৭ মিমি, গোপালগঞ্জ ও চাঁদপুরে ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টির কারণে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা কমে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯ টায় বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টায় তা অতিক্রম শেষ করবে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর সতর্কসংকেত বহাল রয়েছে।