‘নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া টোল আদায় করলেই চাঁদাবাজির মামলা’
২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৩৩
ঢাকা: সরকার নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোনো বাস কিংবা ট্রাক থেকে টোল আদায় করলে চাঁদাবাজির মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই এ বিষয়ে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন প্রজ্ঞাপন জারি করে দেবে। সেখানে কোন এলাকার জন্য কত টাকা টোল দিতে হবে তা নির্ধারণ করা থাকবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্সের সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা ছিলো টাস্কফোর্সের ষষ্ঠ সভা। সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে, অবৈধ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলসমূহ বিআরটিএ’র নীতিমালায় নিয়ে আসা হবে। সেটার জন্য বিআরটিএ তদারকি করবে এবং একটা প্রজ্ঞাপন জারি করবে। ড্রাইভার ও শ্রমিকদের ডোপ টেস্টের জন্য কম সময়ে উদ্যোগ নেওয়া। টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোথাও টোল নেওয়া যাবে না, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃক আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।”
মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেটের মান নির্ধারণ করার বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে বিআরটিএ উদ্যোগ নেবে, যা বিএসটিআই করে দেবে। স্বরাষ্ট্র সচিবও শিল্প মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ রাখছেন, এ নিয়ে একটা নীতিমালা করা হবে। তারা ঠিক কররে দেবে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার জন্য এই উদ্যোগ। কারণ দুর্ঘটনায় অনেকে পঙ্গু হচ্ছে, মারা যাচ্ছেন।’
মন্ত্রী জানান, বিআরটিএর জনবল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে জনবল পর্যাপ্ত না, তা বাড়াতে হবে। এছাড়া ২৫ বছরের বেশি কোনো বাসকে ফিটনেস দেওয়া হবে না। মালিকরা স্বেচ্ছায় বলে দেবেন বাসের বয়স, না হলে পুলিশ নিয়ে ধ্বংস করে ফেলবে। যেসব সিদ্ধান্ত বাকি আছে তা পরের বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
টাস্কফোর্স গঠনের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সড়কে কতটা শৃঙ্খলা ফিরেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর মিটিং হয়নি, অনেক সদস্য মারা গেছেন। তাই ধীরগতিতে চলছে। ১১১টি সুপারিশের মধ্যে যেসব অতিগুরুত্বপূর্ণ সেগুলো সামনে রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। সবগুলো নিয়েই কাজ করছি।’
এসময় রাজধানীর যানজট নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার জনগণের হিসাবে দরকার ২৫ শতাংশ সড়ক, আছে ৮ শতাংশ। তাছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে দুর্ভোগ কিছুটা হচ্ছে। আজ দুপুরেও যুবদল সমাবেশ করে বিশাল যানজটের সৃষ্টি করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েও আমাকে অনেক সময় যানজটে বসে থাকতে হয়েছে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও